প্রতীকী ছবি
ফ্ল্যাট কেনার জন্য প্রোমোটারকে অগ্রিম আট লক্ষ ছ’হাজার টাকা দেওয়ার পরেও ফ্ল্যাট হাতে পাননি অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক। উল্টে তাঁর অভিযোগ, ফ্ল্যাটটি অন্য এক জনকে বিক্রি করে দেওয়া হয়। অনেক অনুরোধ-উপরোধ সত্ত্বেও সুরাহা না-হওয়ায় হুগলি জেলা ক্রেতা সুরক্ষা আদালতে মামলা করেছিলেন ওই শিক্ষক। সেই মামলায় হেরে রাজ্য ক্রেতা সুরক্ষা আদালতের দ্বারস্থ হন সংশ্লিষ্ট প্রোমোটার। সম্প্রতি রাজ্য ক্রেতা সুরক্ষা আদালতও জেলা আদালতের রায়ই বহাল রেখেছে।
হাওড়ার ডোমজুড়ের বাসিন্দা, পেশায় অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক শুভেন্দুবিকাশ দাস কোন্নগরে একটি ফ্ল্যাট কেনার জন্য প্রোমোটার শুভায়ন চক্রবর্তীকে ২০১৪ সালে আট লক্ষ ছ’হাজার টাকা দিয়েছিলেন। শুভেন্দুবাবুর অভিযোগ, ‘‘টাকা দেওয়ার কয়েক মাস পরে উকিলের মাধ্যমে চিঠি দিয়ে প্রোমোটার জানান, আমি চুক্তি ভঙ্গ করেছি। আমার ফ্ল্যাটটি আর এক জনকে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে।’’ ২০১৫ সালের ২৯ এপ্রিল নতুন ফ্ল্যাটে ঢোকার কথা ছিল ওই শিক্ষকের। কিন্তু উকিলের চিঠি পেয়ে তিনি অবাক হয়ে যান। প্রোমোটার শুভায়নকে অনেক অনুরোধ করেও ফ্ল্যাট হাতে না-পেয়ে চুঁচুড়ায় জেলা ক্রেতা সুরক্ষা আদালতের দ্বারস্থ হন শুভেন্দুবাবু। ২০১৯ সালের অগস্টে আদালত ওই প্রোমোটারকে আট লক্ষ ছ’হাজার টাকা-সহ ক্ষতিপূরণ এবং মামলা চালানোর খরচ বাবদ আরও কয়েক হাজার টাকা মামলাকারীকে ফিরিয়ে দিতে নির্দেশ দেয়।
এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে রাজ্য ক্রেতা সুরক্ষা আদালতে মামলা করেন শুভায়ন। সম্প্রতি ওই আদালতের বিচারক সমরেশপ্রসাদ চৌধুরী এবং দীপা সেন (মাইতি) তাঁদের রায়ে হুগলি জেলা ক্রেতা সুরক্ষা আদালতের নির্দেশই বহাল রেখে প্রোমোটারের ভূমিকার সমালোচনা করেছেন। রায় প্রসঙ্গে শুভায়ন বলেন, ‘‘মামলাকারী মিথ্যা বলছেন। তাঁকে ইতিমধ্যেই তিন লক্ষের কিছু বেশি টাকা ফেরত দিয়েছি। বাকি টাকাও দিয়ে দেব। রাজ্য ক্রেতা সুরক্ষা আদালতের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে জাতীয় ক্রেতা সুরক্ষা আদালতে যাব।’’ আর শুভেন্দুবাবুর বক্তব্য, ‘‘এটা প্রতারণা ছাড়া আর কিছু নয়। প্রোমোটারের থেকে আমি কোনও টাকা এখনও পর্যন্ত ফেরত পাইনি। এই মামলায় যত দূর যেতে হয় যাব।’’