আলিপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার।—ফাইল চিত্র
শহর থেকে মফস্সল— পুজোয় থিমের ব্যবহারে কোনও ছেদ নেই। এ বার সংশোধনাগারে বন্দিদের পুজোতেও লেগেছে থিমের ছোঁয়া।
দমদম কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে পুজোর রেওয়াজ দীর্ঘদিনের। এ বছর জমিদার বাড়ির আদলে মণ্ডপ করছেন বন্দিরা। বাতিল জিনিস দিয়ে মণ্ডপ সাজাচ্ছেন বন্দিরা। সাবেক প্রতিমা। সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষ মহালয়া থেকে ব্রিজ, দাবার মতো ক্রীড়া প্রতিযোগিতার মাধ্যমে উৎসবের মেজাজ তৈরি করেছেন। বল পায়ে বা ব্যাট হাতেও মাঠে নামছেন বন্দিরা। গ্রুপ লিগের খেলা শেষে ফাইনালের সময় বাছা হয়েছে সপ্তমী, অষ্টমী এবং নবমী।
সাধারণত পুজোর চার দিন জেলের খাওয়ায় বদল আসে। এ বার কিন্তু মহালয়া থেকেই চিঁড়ের পোলাও, স্পেশ্যাল ঘুগনির স্বাদ পাচ্ছেন বন্দিরা। সপ্তমী, অষ্টমী, নবমী এবং দশমীতে প্রাতঃরাশ, মধ্যাহ্নভোজ এবং নৈশভোজে বন্দিদের পাতে পড়বে পাঁঠার মাংস, চিকেন কষা, বিরিয়ানি, খিচুড়ি, লাবড়া, ছোলার ডাল, ডিম তড়কা। থাকবে অমৃতি আর বোঁদেও।
এটাই আলিপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারের শেষ পুজো। কারণ, পুজোর পরেই সংশোধনাগার বারুইপুরে চলে যাওয়ার কথা। কারা দফতর সূত্রে খবর, কয়েক মাস ধরে স্থানান্তরের প্রক্রিয়ায় টানাপড়েন তৈরি হয়েছিল। তাই আলিপুরে পুজোর প্রস্তুতিতে দেরি হয়েছে। পুজোয় আলিপুরের বন্দিদেরও পাতে পড়বে পায়েস, মাছের মাথা দেওয়া ডাল, মাছ, পাঁঠার মাংস, ডিমের কারি, খিচুড়ি, বাঁধাকপির তরকারি।
ষষ্ঠীতে প্রেসিডেন্সি কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারের পুজোর উদ্বোধন হওয়ার কথা। লোকনৃত্য ও আগমনি গানে মাতবেন বন্দিরা। মণ্ডপ সাজিয়েছেন প্রেসিডেন্সির আর্ট ফোরামের সদস্য ও অন্য বন্দিরা। এখানেও কচুরি, মিষ্টি, আলুর দম, খিচুড়ি, চিকেন কষা, পাঁঠার মাংস ও ডিমের মতো বিশেষ পদ থাকছে।
আলিপুর মহিলা সংশোধনাগারে রীতি মেনেই পুজোর আয়োজন করছেন বন্দিরা। খাওয়ার তালিকায় রয়েছে ফ্রায়েড রাইস, পাঁঠার মাংস, ফুলকপির তরকারি, পায়েস, লুচি, চিকেন কারি। সঙ্গে দশমীতে থাকতে পারে ইলিশ।
অন্ধকার ঘুচিয়ে পুজো এ ভাবেই কাটাতে উৎসুক বন্দিরা।