Kolkata Traffic Police

Kolkata Traffic Police: ‘চোখ’ বন্ধে ট্র্যাফিক পুলিশের আয় এক দিনে কমল চার লক্ষ

চালক কোনও ভাবে ট্র্যাফিক আইন ভাঙলেই স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে মালিকের মোবাইলে জরিমানার বার্তা চলে যায়।

Advertisement

চন্দন বিশ্বাস

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৭ অগস্ট ২০২১ ০৮:০৬
Share:

ফাইল চিত্র।

নজরদারি ক্যামেরা বন্ধ থাকায় এক দিনে প্রায় চার লক্ষ টাকা আয় কমল কলকাতা ট্র্যাফিক পুলিশের! বুধবার বেশ কয়েক ঘণ্টা রাস্তার সিসি ক্যামেরার পাশাপাশি গতি মাপার ক্যামেরাও বন্ধ থাকায় স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে জরিমানা করতে পারেনি ট্র্যাফিক পুলিশ।

Advertisement

রাস্তায় ১৭০০-র বেশি ক্যামেরা রয়েছে কলকাতা ট্র্যাফিক পুলিশের। বেপরোয়া গাড়িচালকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ক্যামেরার মাধ্যমে নজরদারি এবং জরিমানার স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থাও রয়েছে তাদের। বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানো ও ট্র্যাফিক সিগন্যাল ভাঙার কারণেও জরিমানা করা হয়। চালক কোনও ভাবে ট্র্যাফিক আইন ভাঙলেই স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে মালিকের মোবাইলে জরিমানার বার্তা চলে যায়। পরবর্তী কালে তাঁকে সেই জরিমানার টাকা জমা দিতে হয়।

আইন লঙ্ঘনের মাত্রা অনুযায়ী বাড়ে জরিমানার অঙ্কও। প্রতিদিন গড়ে এমন হাজার দেড়েক গাড়িমালিককে জরিমানা করা হয় বলে কলকাতা ট্র্যাফিক পুলিশ সূত্রের খবর। শনি ও রবিবার শহরের রাস্তায় গাড়ি তুলনায় কম চলায় সেই সংখ্যা কিছুটা হলেও কমে। তবে বুধবার নজরদারি ক্যামেরার পাশাপাশি প্রায় গোটা দিনই বন্ধ ছিল ক্যামেরার সাহায্যে গাড়ি চিহ্নিত করে স্বয়ংক্রিয় জরিমানার ব্যবস্থা। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সেই প্রক্রিয়া স্বাভাবিক হয়নি। রাত ৮টার পরে তা কিছুটা স্বাভাবিক হয়।

Advertisement

ট্র্যাফিক পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে জরিমানা বাবদ প্রতিদিন গড়ে চার লক্ষ টাকার বেশি আয় হয় কলকাতা পুলিশের। কিন্তু বুধবার গোটা দিনই বন্ধ ছিল সেই আয়। কলকাতা ট্র্যাফিক পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘যান্ত্রিক গোলযোগ হলে সে ক্ষেত্রে তো কিছু করার থাকে না। গোটা দিনই এই পদ্ধতিতে জরিমানা করা যায়নি। তবে বেশি সংখ্যক ট্র্যাফিক সার্জেন্টকে রাস্তায় নামিয়ে নজরদারি চালানোর ব্যবস্থা করা হয়েছিল।’’

প্রসঙ্গত, বুধবার সকাল থেকে শহরে বন্ধ ছিল কলকাতা পুলিশের ১২০০-রও বেশি নজরদারি ক্যামেরা। প্রথমে সাইবার হামলার আশঙ্কা করা হলেও পরে কলকাতা পুলিশের তরফে দাবি করা হয়, সফটওয়্যারের কিছু আপডেটের কাজ করানোর জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে রাস্তায় বসানো ক্যামেরাগুলি। সন্ধ্যার পরে সেই পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক হয়। যদিও সিসি ক্যামেরার সফটওয়্যার আপডেট নিয়ে কলকাতা পুলিশের দাবি ঘিরে বুধবারই প্রশ্ন তুলেছিলেন সাইবার বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement