প্রতীকী ছবি
রিজেন্ট পার্ক থানা এলাকায় শুক্রবার ভোরে গুলি চালানোর ঘটনায় আরও ছ’জনকে গ্রেফতার করল কলকাতা পুলিশের গুন্ডা দমন শাখা। রাতভর অভিযান চালিয়ে দুই গোষ্ঠীর ছ’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ধৃতদের নাম রিঙ্কু দাস, রাজীব দত্ত, পিয়াল বড়ুয়া, বিট্টু দাস, অভিজিৎ দাস এবং সায়ন কিট্টু। এই নিয়ে গুলি-কাণ্ডে মোট আট জনকে গ্রেফতার করা হল। ওই ঘটনায় আরও কেউ যুক্ত কি না, দেখছে লালবাজার।
রিজেন্ট পার্ক থানা এলাকার তেঁতুলতলায় শুক্রবার ভোরে ওই গুলি চালানোর ঘটনা ঘটে। পেটে গুলি লাগায় আহত হন পঙ্কজ সাহা ও অভিজিৎ মল্লিক নামে দুই স্থানীয় যুবক, যাঁরা নির্মাণ সামগ্রী সরবরাহের ব্যবসায় যুক্ত। দু’জনেই এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি। ঘটনার কয়েক ঘণ্টা পরেই মূল অভিযুক্ত ভিক্টর ভট্টাচার্য ও তাঁর সঙ্গী মলয় ভুঁইয়াকে গ্রেফতার করা হয়। শুক্রবার রাতভর অভিযানে নেমে গ্রেফতার করা হয় বাকি ছ’জনকে। তদন্তে পুলিশ জানতে পারে, মূলত ইমারতি দ্রব্য সরবরাহ করা নিয়ে ভিক্টর ও পঙ্কজের গোষ্ঠীর মধ্যে বিবাদ দীর্ঘদিনের। যাকে কেন্দ্র করেই এই গুলি চালানোর ঘটনা। পুলিশ জানিয়েছে, রিঙ্কু, রাজীব এবং পিয়াল পঙ্কজ গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত। আর ভিক্টরের দলের হয়ে কাজ করেন বিট্টু, অভিজিৎ এবং সায়ন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, লরি থেকে বালি নামানোর কাজের তদারকি করছিলেন পঙ্কজরা। তখনই ভিক্টর ও তাঁর দল বালি নামাতে বাধা দেন বলে অভিযোগ। এই নিয়ে বচসা শুরু হয়। তার পরেই ভিক্টরকে মারধর করা হয় বলে দাবি। তখনই ভিক্টর পঙ্কজ ও অভিজিৎকে লক্ষ্য করে গুলি চালান বলে তদন্তে জানা গিয়েছে। আরও জানা গিয়েছে, ধৃতদের বিরুদ্ধে এর আগেও থানায় একাধিক অভিযোগ দায়ের রয়েছে।
রিঙ্কু, রাজীব, পিয়াল, বিট্টু ও অভিজিৎকে শনিবার ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হয়। রাজীব, রিঙ্কু ও পিয়ালকে ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত এবং বিট্টু ও অভিজিৎকে ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। অন্য দিকে, সায়ন কিট্টুকে শিয়ালদহ আদালতে তোলা হলে আগামী ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত তার পুলিশি হেফাজত দেন বিচারক।