—নিজস্ব চিত্র।
এ বার কলকাতায় ‘ঠক ঠক’ গ্যাংয়ের খপ্পরে পড়লেন এক ব্যক্তি। গত ২২ জানুয়ারি চিৎপুর থানা এলাকার ঘটনা। গাড়ি করে যাওয়ার সময় তাঁর ব্যাগভর্তি পাঁচ লক্ষ টাকা ছিনতাই করে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ করেছিলেন দীপক দে নামে ওই ব্যক্তি। সঙ্গে চুরি গিয়েছিল অনেক ব্যক্তিগত নথিও। ওই ঘটনার তদন্তে নেমে ‘ঠক ঠক’ গ্যাংয়ের দুই সদস্যকে দিল্লি থেকে গ্রেফতার করল পুলিশ।
কেপমারির ঘটনার পর রাতেই চিৎপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন দীপক। পুলিশকে তিনি জানিয়েছিলেন, ১১এ বাসস্ট্যান্ডের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় এক অপরিচিত ব্যক্তি তাঁর গাড়ি থামান। গাড়ি থেকে তেল লিক করছে জানিয়ে তাঁকে ও চালককে গাড়ি থেকে নামতে বলেন তিনি। অপরিচিতের কথা মতো তিনি ও চালক গাড়ি থেকে নামতেই সুযোগ বুঝে পিছনের আসনে রাখা কালো রঙের ব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে চম্পট দেন ওই ব্যক্তি। অভিযোগে দীপক জানান, ওই ব্যাগে পাঁচ লক্ষ টাকার পাশাপাশি ক্রেডিট কার্ড, ডেবিট কার্ড, ড্রাইভিং লাইসেন্স, প্যান কার্ড, আধার কার্ড-সহ বহু নথি ছিল।
দীপকের অভিযোগের ভিত্তিতেই ঘটনার তদন্তে নামে চিৎপুর থানার পুলিশ। খতিয়ে দেখা হয় সিসিটিভি ফুটেজ। তা থেকেই পুলিশ জানতে পারে, দিল্লি পালিয়েছেন ওই ব্যক্তি। সেই মতো যোগাযোগ করা হয় দিল্লি পুলিশের সঙ্গে। এর পর রাজধানীর ইন্দ্রপুরী থানা এলাকার বুধবিহারে তল্লাশি চালিয়ে সরওয়ানা ও ভরত নামে দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল দিল্লি পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সরওয়ানার বয়স ৪৫ বছর আর ভরতের বয়স ২৬। জেরায় নিজেদের ‘ঠক ঠক’ গ্যাংয়ের সদস্য বলে পরিচয় দিয়েছেন তাঁরা। তাঁদের থেকে উদ্ধার হয়েছে নগদ তিন লক্ষ ১৫ হাজার টাকা এবং দীপকের আধার কার্ড, প্যান কার্ড, ড্রাইভিং লাইসেন্স, প্যান কার্ড, আধার কার্ড।
উদ্ধার হওয়া নগদ
কী এই ঠক ঠক গ্যাং?
পুলিশ সূত্রেই খবর, খুব সাধারণ কায়দায় শিকারকে ফাঁদে ফেলে লুঠপাট চালাতে দক্ষ এই গ্যাং। শুধু দিল্লিই নয়, এই গ্যাংয়ের নেটওয়ার্ক ছড়িয়ে রয়েছে কলকাতা, গুজরাত, ওডিশা এবং তামিলনাড়ু-সহ বেশ কয়েকটি রাজ্যে। তবে সব চেয়ে বেশি সক্রিয় এরা দিল্লিতে। একের পর এক লুঠপাট চালিয়ে গিয়েছে এই গ্যাং। এদের ধরতে রাতের ঘুম উড়ে গিয়েছিল দুঁদে পুলিশ অফিসারদেরও।