—নিজস্ব চিত্র।
খুলে ফেলা হচ্ছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে বিজেপি যুব মোর্চার মঞ্চ। বৃহস্পতিবার ওই ধর্না মঞ্চেই শুভেন্দুর ভাষণের পর সংঘর্ষ বেধেছিল। শুক্রবার সেখানে যুব মোর্চার কর্মসূচিও ছিল। তার আগে সেই মঞ্চ খোলার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। যুব মোর্চার অভিযোগ, পুলিশ তাদের কর্মসূচির অনুমতি বাতিল করে মঞ্চ খুলে ফেলার নির্দেশ দিয়েছে। এরই প্রতিবাদে ধর্না মঞ্চের সামনে অবস্থান বিক্ষোভে বসে পড়েন যুব মোর্চার কর্মীরা।
যুব মোর্চার তরফে দাবি, ১৯ অগস্ট পর্যন্ত কর্মসূচির কথা জানিয়ে যাদবপুর থানা থেকে মঞ্চ বাঁধার অনুমতি নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু শুক্রবার আচমকাই পুলিশের তরফে অনুমতি বাতিল করে দেওয়া হয়। আধ ঘণ্টার মধ্যে মঞ্চ খুলে ফেলার নির্দেশ দেয় পুলিশ। ডেকরেটার্সদের হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়, সময়ের মধ্যে মঞ্চ খোলা না হলে সব কিছু বাজেয়াপ্ত করা হবে। এর পরেই বাধ্য হয়ে মঞ্চ খুলে নেওয়া হয় বলে জানানো হয়েছে যুব মোর্চার তরফে। যদিও পুলিশের বক্তব্য, এই ধরনের কোনও অনুমতিই দেওয়া হয়নি।
যুব মোর্চার সভাপতি ইন্দ্রনীল খাঁ বলেন, ‘‘সাধারণ মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত সমর্থন ছিল আমাদের মঞ্চ ঘিরে। তৃণমূলও মঞ্চ বেঁধেছিল। কিন্তু সেখানে ভিড় ছিল না। ভয় পেয়েই রাজ্য সরকার পুলিশকে মঞ্চ খুলে ফেলার নির্দেশ দিয়েছে।’’ ইন্দ্রনীলের দাবি, তাদের ১২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। যদিও পুলিশের তরফে এ ব্যাপারে সরকারি ভাবে কিছু জানানো হয়নি।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন নম্বর গেটের কাছে যুব মোর্চার ওই মঞ্চ বাঁধা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার সেখানে গিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। ভাষণে বিরোধী দলনেতা দাবি করেছিলেন, বাম এবং অতিবামেরা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কে নিজেদের ঘাঁটি বানিয়ে ফেলেছে। তাদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ‘উপড়ে ফেলার’ হুমকিও দিয়েছিলেন শুভেন্দু। সভার পরে তাঁকে কালো পতাকা দেখানোর অভিযোগ ওঠে রেভলিউশনারি স্টুডেন্ট ফ্রন্ট (আরএসএফ)-এর বিরুদ্ধে। কালো পতাকা দেখানো নিয়ে যুব মোর্চা এবং এবিভিপি কর্মী-সমর্থকদের হাতাহাতি হয়। কিছু ক্ষণের মধ্যে তা রণক্ষেত্রের চেহারা নেয়। অভিযোগ, সেই সময় শুভেন্দুর সঙ্গে থাকা কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনীর জওয়ানেরা পড়ুয়াদের উপর চড়াও হন। ছাত্রদের লাথি মারতেও দেখা গিয়েছে এক জওয়ানকে। শুভেন্দুকে কালো পতাকা দেখানোর অভিযোগে পুলিশ দু’জনকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল। পরে তাঁদের অবশ্য ছেড়ে দেওয়া হয় বলে খবর। এর পরেই শুক্রবার পুলিশ যুব মোর্চার মঞ্চ খোলার নির্দেশ দেয় বলে তাদের অভিযোগ।