তৃণমূল কর্মীর জন্মদিনের অনুষ্ঠানে মদন মিত্র। নিজস্ব চিত্র
এলাকা দখল কেন্দ্র করে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠল দক্ষিণেশ্বর-কামারহাটির আরিয়াদহ নিমতলা এলাকা। দু’পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। গুলি চলারও অভিযোগ উঠেছে। সকলেই তৃণমূল নেতা মদন মিত্রের অনুগামী বলে এলাকায় পরিচিত।
সোমবার রাতে ঘটনার সূত্রপাত। তৃণমূল কর্মীদের অভিযোগ, খেয়াঘাট এলাকায় এক তৃণমূল কর্মীর জন্মদিন পালনের পর তাঁরা যখন গভীর রাতে বাড়ি ফিরছিলেন, সেই সময় ২৫ জন দুষ্কৃতী তাঁদের ওপর চড়াও হয়। বাঁশ দিয়ে মারধর করা হয়। কয়েক রাউন্ড গুলি চালানো হয় বলেও অভিযোগ। অনুষ্ঠানে মদনও ছিলেন। তিনি চলে যেতেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় বলে সূত্রের খবর। এলাকায় উত্তেজনা রয়েছে। মোতায়েন করা হয়েছে র্যাফ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, স্থানীয় দু’টি ক্লাবের পুরনো বিষয় নিয়ে গণ্ডগোলের জেরে এই ঘটনা। তবে গুলি চলার বিষয়টি অস্বীকার করেছে বেলঘড়িয়া থানার পুলিশ। মঙ্গলবার এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়নি।
আরও পড়ুন: সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে থানায় থানায় ক্যামেরা বসাতে তৎপর লালবাজার
আরও পড়ুন: অ্যাসিড বিক্রি বন্ধে আইন? জানা নেই সরকারি স্তরেও
স্থানীয় সূত্রে খবর, বেশ কিছুদিন ধরেই মদন অনুগামী সুরজিৎ ঘোষ এবং মৌসম গোষ্ঠীর মধ্যে ঝামেলা লেগে রয়েছে এলাকা দখলকে কেন্দ্র করে। দু’জনেই মদন মিত্রের অনুগামী। স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, আমপান থেকে রক্তদান শিবির, এই দুই গোষ্ঠীর ঝামেলা লেগে থাকত। তবে কোন পক্ষ এই বিষয় নিয়ে মুখ খুলতে রাজি নয়। মঙ্গলবার সকালে কামারহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান গোপাল সাহা মন্তব্য এড়িয়ে যান।
গতকাল, সোমবার ছিল সুরজিতের জন্মদিন। পার্টিতে এসেছিলেন মদনও। তা শুনে সেখানে পৌঁছয় মৌসম। কিন্তু ততক্ষণে পার্টি ছেড়ে চলে যান মদন। এরপরই শুরু হয় ঝামেলা। দু’পক্ষই হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে। সুরজিতের অভিযোগ, গুলি চালায় মৌসমের দলবল। বাঁশ দিয়ে মারা হয়। পাল্টা অভিযোগ করেছে মৌসমও। যদিও এখনও পর্যন্ত দু’পক্ষের কেউই গ্রেফতার হয়নি। আটক করে চলছে জিজ্ঞাসাবাদ। এলাকা থমথমে।