জাল: ট্রেনে, স্টেশন চত্বরে বিকোচ্ছে এই জল। নিজস্ব চিত্র
বেআইনি বোতলবন্দি জল সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। জেলা প্রশাসনের চাপের মুখে এর পরে দোকান-বাজারে ওই জল বিক্রি কিছুটা কমলেও অবাধে তা বিকোচ্ছে হাওড়া ও শিয়ালদহ স্টেশন চত্বর এবং ট্রেনে।
অভিযোগ, রেলের চত্বরে বিকোনো ওই সব জলের না আছে আইএসআই ছাপ, না আছে সরকারি লাইসেন্স নম্বর। কখনও নামী সংস্থার লেবেল নকল করেও বিক্রি হচ্ছে জল। অথচ রেল চত্বরে শুধুই রেলনীর বিক্রি হওয়ার কথা। কিন্তু যাত্রীদের অভিযোগ, রেলনীর সব সময়ে দেখা যায় না ট্রেনে। ফলে ওই জল না কিনে উপায় থাকছে না। অনেকেই জানাচ্ছেন, ইদানীং জলের সঙ্গে বিক্রি হচ্ছে বোতলেবন্দি সবুজ-হলুদ ঠান্ডা পানীয়ও। এ সব কতটা নিরাপদ, জানেন না অধিকাংশ যাত্রীই।
অথচ রেলের নিয়মে, রেলওয়ে কেটারিং অ্যান্ড ট্যুরিজিম কর্পোরেশনের (আইআরসিটিসি) নিজস্ব হকার বা লাইসেন্সি কোনও হকারের মাধ্যমে রেলনীর বিক্রি করার কথা। ঠান্ডা পানীয়েও একই নিয়ম।
অভিযোগ, হাওড়ার ২১-২২ নম্বর প্ল্যাটফর্মে নিয়মিত ট্রাকে করে আনা হচ্ছে নানা সংস্থার জলের বোতল। আরপিএফ-এর সামনেই সেখান থেকে বিক্রির জন্য ট্রেনে তোলা হচ্ছে ওই সব বোতল।
রেলের এক সূত্রের খবর, চাহিদামতো জোগান না থাকায় সর্বত্র রেলনীর পাঠানো আপাতত সম্ভব হচ্ছে না। তাই রেল অন্য কয়েকটি সংস্থাকে জল বিক্রির অনুমতি দিয়েছে। কিন্তু তার ফাঁকেই ঢুকে যাচ্ছে বেআইনি
বহু সংস্থাও।
রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, এখন পূর্বাঞ্চলে রেলনীর আসে দানাপুর ও বিলাসপুর থেকে। আইআরসিটিসি-র পূর্বাঞ্চলের অধিকর্তা, দেবাশিস চন্দ্র বলেন, ‘‘সাঁকরাইলে আর একটি জলের প্লান্ট তৈরি হচ্ছে। সেটির কাজ শেষ হয়ে গেলে গোটা বাংলার স্টেশনগুলিতে রেলের জলই মিলবে।’’
পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক রবি মহাপাত্র বলেছেন, ‘‘রেলনীর ও নির্ধারিত কয়েকটি সংস্থার জল ছাড়া ট্রেনে ও স্টেশনে অন্য সংস্থার জল বিক্রি বেআইনি। অভিযোগ পেয়েছি। অবিলম্বে বেআইনি জল বন্ধে ব্যবস্থা হবে।’’