যশোর রোডে যানজট।
দমদম রোডে ভারী যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকার কারণে গাড়ির চাপ বেড়েছে যশোর রোডে। হচ্ছে যানজটও। তবে, আপাতত দমদম রোডের একাংশে বাস চালানো হচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অবশ্য অভিযোগ, যশোর রোডে যানজটের কারণ শুধু গাড়ির চাপ বৃদ্ধি নয়। ওই এলাকায় ফুটপাত জুড়ে প্রতিদিনই বসে দোকান-বাজার। এ ছাড়া, যত্রতত্র গাড়ির পার্কিং এবং নির্মাণ সামগ্রী জড়ো করে রাখার সমস্যা তো রয়েছেই। যার ফলে পথচারীদের অধিকাংশ সময়েই বাধ্য হয়ে রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে হয়। গাড়ির গতি কমে যাওয়া বা যানজটের সেটাও একটা বড় কারণ।
দক্ষিণ দমদম পুর এলাকায় এমন দৃশ্য অবশ্য নতুন কিছু নয়। দমদম রোড বা যশোর রোডের একাধিক জায়গায় এই দৃশ্য হামেশাই চোখে পড়ে। এর আগে পুলিশ এবং পুর প্রশাসন অভিযান চালিয়ে কিছু দিনের জন্য পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছিল। কিন্তু অভিযান বন্ধ
হতেই ফিরে এসেছে পুরনো ছবি। বিশেষত, নাগেরবাজার মোড় থেকে শুরু করে যশোর রোডের একটি শপিং মল এলাকা এবং দমদম স্টেশন সংলগ্ন রাস্তায় গেলে পরিস্থিতিটা সহজেই বোঝা যায়। অবস্থা এমনই যে, বহু জায়গায় ফুটপাত দিয়ে হাঁটাচলা করাই মুশকিল। তখন রাস্তায় না নেমে উপায় থাকে না। রাস্তায় আবার বাস, ট্যাক্সি, অটোর পাশাপাশি সাইকেল ভ্যান বা রিকশাও চলে অবাধে। যার জেরে যানজট হয়ে ওঠে অবশ্যম্ভাবী।
করোনা পরিস্থিতিতে সরকারি নিয়ন্ত্রণ-বিধি ধীরে ধীরে উঠে যাওয়ার পরে আগের সেই যানজটের ছবিই আবার ফিরে এসেছে। পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, সমস্যা সম্পর্কে পুরসভা ওয়াকিবহাল। প্রয়োজনীয় পদক্ষেপও করা হয়।
পুলিশ এবং পুরসভা সূত্রের খবর, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে অতিরিক্ত কর্মী কাজ করছেন। স্থানীয় বাসিন্দা অনুপ দত্তের অভিযোগ, ওই রাস্তায় যাত্রী তোলার জন্য বাসগুলি যেখানে-সেখানে দাঁড়িয়ে পড়ে। ফলে, স্বাভাবিক ভাবেই গাড়ির গতি শ্লথ হয়ে যায়। তা ছাড়া, ফুটপাতে বেশ কিছু এমন দোকান রয়েছে, যারা চলার পথে জিনিসপত্র ডাঁই করে রাখে। সেটাও একটা বড় সমস্যা।
পুরসভার মুখ্য প্রশাসকের দাবি, নির্দিষ্ট কয়েকটি এলাকা ছাড়া বাকি অংশে এমন সমস্যা কম। স্বল্প পরিসর এবং অধিক জনঘনত্বকেই এই সমস্যার জন্য দায়ী করেছেন তিনি। তাঁর অবশ্য দাবি, ফুটপাত দখলমুক্ত রাখতে প্রতি বছরই পদক্ষেপ করা হয়। আগামী দিনেও সেই পদক্ষেপ করা হবে।