আলোচনাসভায় বিশিষ্টরা। —নিজস্ব চিত্র।
কংক্রিটের ভিড়ের মাঝেও লক্ষ্য সবুজায়ন। শুক্রবার বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে ক্রেডাই বেঙ্গল এবং রোটারি ক্লাব অফ ক্যালকাটা ইনার সিটির সহযোগিতায় ‘গ্রিন বিল্ট এনভায়রনমেন্ট’-এর উপর একটি সেমিনারের আয়োজন করে ইন্ডিয়ান গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিল(আইজিবিসি)। শহরের বুকে গড়ে ‘গ্রিন বিল্ডিং’ সম্পর্কে সচেতনতা তৈরিতে এই আলোচনা সভায় অংশ নিয়েছিলেন বিভিন্ন নির্মাণ সংস্থার সদস্য, পরিবেশবিদ, স্থপতিরা।
প্রকৃতি এবং পরিবেশের ক্ষতি না করে পরিবেশ বান্ধব আবাসনকে বলা হয় ‘গ্রিন বিল্ডিং’। নির্মাণের জন্য জমি বাছাই থেকে শুরু হয় সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের প্রাথমিক প্রক্রিয়া। অনুর্বর বা অনাবাদি জমিতে আবাসন নির্মাণ হল ‘গ্রিন বিল্ডিং’-এর অন্যতম শর্ত। শুধু তাই নয়, সেই আবাসন নির্মাণের প্রণালীর প্রতিটি উপকরণকে হতে হবে পুনঃব্যবহারযোগ্য এবং পরিবেশবান্ধব।
‘গ্রিন বিল্ডিং’-এ অতিরিক্ত জ্বালানি এবং শক্তির অপচয় রোধ করা যায়। এই প্রক্রিয়ায় বিদ্যুৎশক্তি কম ব্যবহার করে প্রাকৃতিক আলো-বাতাসের সর্বোচ্চ ব্যবহার করা হয়। ফলে বিদ্যুৎ খরচ ও কার্বন নিঃসরণের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে থাকে।
এ নিয়ে আইজিবিসি (কলকাতা)-র চেয়ারম্যান সুশীল মোহতা তাঁর বক্তব্যে তুলে ধরেন ‘গ্রিন বিল্ডিং’-এর গুরুত্বের কথা। তিনি বলেন, ‘‘জীবাশ্ম জ্বালানির কম খরচ, আরও জল সংরক্ষণ এবং পরিবেশবান্ধব পরিকল্পনার মাধ্যমে ভারত খুব তাড়াতাড়ি ‘গ্রিন বিল্ডিং’ তৈরিতে সারা বিশ্বে নিজের উল্লেখ রাখবে। আগামিদিনে এ ক্ষেত্রে বিশ্বের দ্বিতীয় দেশ হয়ে উঠবে ভারত।’’ আলোচনায় সশরীরে যোগ দিতে না পারলেও তাঁর বার্তা পাঠিয়েছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। তিনি উল্লেখ করেন, নগরাঞ্চল সবুজ করার জন্য সরকারি সহায়তা এবং ভর্তুকির কথা। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অবসরপ্রাপ্ত আমলা তথা হিডকোর ম্যানেজিং ডিরেক্টর দেবাশিস সেন। তিনি ‘গ্রিন বিল্ডিং’ প্রকল্প উৎসাহিত করে হিডকোর বিভিন্ন উদ্যোগের কথা বলেন।
এই আলোচনায় সভায় উপস্থিত ছিলেন রোটারি ক্লাবের সদস্য সুকন্যা দাশগুপ্ত এবং রবীন্দ্র সহগল। ছিলেন ক্রেডাই বেঙ্গলের ভাইস-প্রেসিডেন্ট অপূর্ব সালারপুরিয়া এবং আইজিবিসি (কলকাতা)-র বিবেক সিংহ রাঠোর।