ফাইল ছবি
রাজ্যের ১১২টি পুরসভায় এক সঙ্গে ভোট করানো হবে না কেন, তা কমিশনের কাছে জানতে চেয়েছিল হাইকোর্ট। সোমবার উচ্চ আদালতে হলফনামা দিয়ে কমিশন জানায়, পর্যাপ্ত ইভিএম না থাকায় তা করানো সম্ভব হচ্ছে না। কমিশনের এই জবাবে মামলার শুনানিতে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন বিজেপি-র আইনজীবী।
এ নিয়ে সোমবার হাই কোর্টে হলফনামা জমা দেয় রাজ্য নির্বাচন কমিশন। কিন্তু, সেই হলফনামা সব পক্ষের কাছে পৌঁছয়নি। তাই মামলার শুনানি পিছিয়ে মঙ্গলবার করা হয়। হলফনামায় কমিশন জানায়, বুথের তুলনায় ইভিএম-এর সংখ্যা কম থাকায় রাজ্যে এক সঙ্গে সব পুরসভায় ভোট করানো সম্ভব হচ্ছে না। কমিশনের কাছে ১৫,৬৮৭টি ইভিএম আছে। তার মধ্যে কলকাতার পুরভোটে ৭,২১০টি ইভিএম ব্যবহার করা হবে। যদি নির্ধারিত দিনে গণনা না হয়, তা হলে কমিশনের কাছে ৮,৪৭৭টি ইভিএম পড়ে থাকবে। ফলে, দফাভিত্তিক গণনা না করলে রাজ্যের বকেয়া পুরভোটের জন্য কমিশনের কাছে ইভিএম-ই থাকবে না।
শুনানিতে বিজেপি-র আইনজীবী পিঙ্কি আনন্দ আদালতে বলেন, ইভিএম কম পড়লে তা কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন থেকে আনাত রাজ্য। এ প্রসঙ্গে তিনি উল্লেখ করেন, ২০১৫ সালের ভোটে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের কাছ থেকে ইভিএম আনিয়ে ছিল রাজ্য। তিনি প্রশ্ন তোলেন, তবে এ বার কেন তা হচ্ছে না।
তিনি আরও বলেন, রাজ্য নির্বাচনের যে ইভিএম ব্যবহার করে তাতে সাধারণত ভিভিপ্যাট থাকে না। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী ইভিএম-এ ভিভিপ্যাট থাকা বাধ্যতামূলক। ভিভিপ্যাট ছাড়া ভোটগ্রহণ কাঙ্ক্ষিত নয় বলে তিনি আদালতে জানান।
এ নিয়ে মামলাকারীকে হলফনামা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ। মামলার পরবর্তী শুনানি ১০ ডিসেম্বর।