প্রতীকী চিত্র
এ রাজ্যে তল্লাশি বা অন্য কোনও প্রয়োজনে ডিজি লকার অথবা এমপরিবহণ অ্যাপে থাকা গাড়ির নথি পুলিশকে দেখালে তা সম্প্রতি গ্রাহ্য করা হচ্ছিল। কিন্তু ট্র্যাফিক আইন ভঙ্গ করে পুলিশের হাতে ধরা পড়লে তখন আর ওই ডিজিটাল নথি দেখিয়ে পার পাবেন না চালক। আপাতত চালকের সঙ্গে রাখতেই হবে গাড়ি সংক্রান্ত কাগজপত্র, যা প্রয়োজনে বাজেয়াপ্ত করতে পারবে পুলিশ। বৃহস্পতিবার এই নির্দেশ জারি করেছে লালবাজার। সার্জেন্টদের ওই নির্দেশ মেনে চলতে বলেছে ট্র্যাফিক গার্ডগুলি।
দেশের বিভিন্ন রাজ্যে অবশ্য আগেই ওই ডিজিটাল নথি প্রামাণ্য হিসাবে গৃহীত হয়েছে। এ বার ওই ডিজিটাল লাইসেন্স বা নথি যাতে অফিসারেরা দেখেন, তার জন্য নির্দেশ জারি করেছে লালবাজারও। তবে ওই ডিজি লকার বা এমপরিবহণ অ্যাপে থাকা ডিজিটাল নথি বাজেয়াপ্ত করতে পারেন না পুলিশ অধিকারিকেরা।
কেন এই নির্দেশ? গোটা দেশেই ডিজিটাল নথি বাজেয়াপ্ত করার জন্য এনআইসি ই-চালান চালু হয়েছে। যার মাধ্যমে ট্র্যাফিক সংক্রান্ত সব জরিমানা বা কেস করা হচ্ছে। ওই ব্যবস্থায় ডিজি লকার বা এমপরিবহণ অ্যাপে থাকা ই-নথি দেখালেই চলত। এমনকি অনলাইনেও তা বাজেয়াপ্ত করা যেত। কিন্তু কলকাতা পুলিশ এলাকায় ওই এনআইসি ই-চালান এখনও পুরোপুরি চালু হয়নি। ফলে ট্র্যাফিক আইন ভাঙলে ওই অ্যাপে থাকা চালকের ডিজিটাল নথি বাজেয়াপ্ত করতে পারছেন না অফিসারেরা। এক পুলিশ অফিসার জানান, ওই ই-নথি বাজেয়াপ্ত করা হলে তা ছাড়ানোর জন্য ই-কোর্ট দরকার। কিন্তু এখনও এ রাজ্যে ই-কোর্ট চালু হয়নি। তা চালু হলেই ওই ই-চালান চালু হবে। উল্লেখ্য, শহরে যত দিন এনআইসি ই-চালান চালু না হচ্ছে, তত দিন কলকাতা পুলিশ এলাকায় ট্র্যাফিক অফিসারেরা নিজস্ব অ্যাপের মাধ্যমে ই-চালানে জরিমানা করছেন।
একাধিক পুলিশ অফিসার জানান, ডিজিটাল ওই নথিকে প্রামাণ্য হিসাবে দেখার ফলে রাতের শহরে তল্লাশি চালানোর সময়ে হাতে ধরে কোনও নথি দেখার প্রয়োজন হচ্ছে না। চালকেরা অ্যাপে থাকা ডিজিটাল নথি দেখিয়ে দিতে পারছেন। তবে খুব দ্রুত এনআইসি চালান চালু হলে গাড়ির নথি বা ওই লাইসেন্সও সঙ্গে রাখার প্রয়োজন পড়বে না।