প্রতীকী চিত্র।
রাজ্যে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্তের শেষকৃত্য নিয়ে বিস্তর জলঘোলা হয়েছিল গত সোমবার। সল্টলেকের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ওই দিন দুপুর সাড়ে তিনটে নাগাদ তাঁর মৃত্যুর কথা ঘোষণা করা হয়। তার পর নিমতলা শ্মশানে তাঁর শেষকৃত্য করতে লেগে যায় ৯ ঘণ্টা!
ওই দিন কোনও শববাহী গাড়ি পাওয়া যায়নি। আত্মীয়-পরিজনেরা তাঁর দেহ নিতে আসেননি। এর পর নিমতলা শ্মশানে তাঁর দেহ নিয়ে যাওয়া হলেও, সেখানে বাধার মুখে পড়েন স্বাস্থ্য দফতর এবং পুলিশ-প্রশাসনের কর্তারা। পরে ওই দিন রাত পৌনে ১২টা নাগাদ তাঁর শেষকৃত্য হয়। এই ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে এ বার বেশ কয়েকটি নতুন পদক্ষেপ করছে কলকাতা পুরসভা। সিদ্ধান্ত হয়েছে, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের দেহ শহরের কোনও শ্মশানে দাহ করা যাবে না বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ধাপায় একটি বৈদ্যুতিক চুল্লি রয়েছে। সেখানেই ওই দেহ দাহ করতে হবে। যদি তাতে কেউ রাজি না হন, হিন্দুধর্মের ক্ষেত্রে তপসিয়া এলাকায় তাঁর দেহ সমাধিস্থ করা যেতে পারে। মুসলিমদের ক্ষেত্রে বাগমারি এলাকায় কবরস্থলে শেষকৃত্য হবে।
কলকাতা পুরসভার ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ বলেন, “আপাতত তিনটি জায়গা চিহ্নিত করা হয়েছে। পরবর্তী ক্ষেত্রে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে যদি কারও মৃত্যু হয়, তাঁদের বাগমারি, তপসিয়া এবং ধাপায় নিয়ম মেনে শেষকৃত্য হবে।”
আরও পড়ুন: করোনা আপডেট: দেশে আক্রান্ত ছাড়াল ৬০০, মৃত বেড়ে ১২
আরও পড়ুন: ‘ওঁরা ঈশ্বরের প্রতিমূর্তি’, করোনা-চিকিৎসক হেনস্থায় কড়া ব্যবস্থার আশ্বাস মোদীর