বধূ খুনের দু’দিন পার, খোঁজ নেই স্বামীর

পূজার মেজ দিদি অর্চনা রবিবার জানিয়েছেন, তদন্তে নেমে দীপকের কোন আত্মীয় কোথায় থাকেন সেই খোঁজ করছে পুলিশ। রাজস্থান এবং আমদাবাদে দুই আত্মীয়ের বাড়িতে দীপকের যাতায়াত ছিল বলে পুলিশকে জানিয়েছেন অর্চনা। সেখানে দীপক পালিয়ে গিয়েছেন কি না, সেই খোঁজ রাখা হচ্ছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৬ অগস্ট ২০১৮ ০২:৫৩
Share:

পূজা জৈন

নারকেলডাঙা মেন রোডের বাসিন্দা পূজা জৈনকে কেন খুন করা হয়েছে, সেই রহস্য এখনও ভেদ হয়নি। খুনের দু’দিন পরেও অধরা পূজার স্বামী দীপক জৈন। বন্ধ রয়েছে তাঁর দু’টি মোবাইলও।

Advertisement

পূজার মেজ দিদি অর্চনা রবিবার জানিয়েছেন, তদন্তে নেমে দীপকের কোন আত্মীয় কোথায় থাকেন সেই খোঁজ করছে পুলিশ। রাজস্থান এবং আমদাবাদে দুই আত্মীয়ের বাড়িতে দীপকের যাতায়াত ছিল বলে পুলিশকে জানিয়েছেন অর্চনা। সেখানে দীপক পালিয়ে গিয়েছেন কি না, সেই খোঁজ রাখা হচ্ছে। নজরে রাখা হয়েছে তাঁর দুই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টও। সেগুলি থেকে দীপক টাকা তুলেছেন কি না অথবা তুললে কোথা থেকে তুলছেন— সে দিকটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

গত শুক্রবার সকালে নারকেলডাঙা মেন রোডে বাপের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা পূজার রক্তাক্ত দেহ। তাঁর দুই দিদি ফুলবাগান থানায় জানান, বৃহস্পতিবার দীপক ওই বাড়িতে এসেছিলেন। পূজার বড় দিদি মঞ্জরী নার্সিংহোমে দেখতে গিয়েছিলেন বাবা ভগবতীপ্রসাদ গুপ্তকে। তখন তিনি বোনকে ফোন করলে দীপক ফোন ধরেন। তার পর থেকে পূজাকে ফোনে পাওয়া যায়নি। রাতে বাড়ি ফিরেও পূজাকে দেখতে না পেয়ে মঞ্জরী মনে করেছিলেন, তিনি দীপকের সঙ্গে শ্বশুরবাড়ি গিয়েছেন

Advertisement

কিন্তু শুক্রবার সকালেও পূজা না আসায় এবং তাঁর মোবাইল বন্ধ থাকায় সন্দেহ হয় মঞ্জরীর। তিনি খবর দেন মেজ বোনকে। পরে দু’জনে ফুলবাগান থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন। এর পরেই বাড়ি ফিরে স্টোর রুম খুলে খাটের নীচ থেকে কাপড়ে মোড়া অবস্থায় পূজার রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করেন তাঁরা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement