প্রতীকী ছবি।
অন্য পুরুষের সঙ্গে স্ত্রীর সম্পর্ক রয়েছে, এই সন্দেহে তাঁকে গুলি করতে গিয়েছিলেন স্বামী। প্রাণে বাঁচতে কোনও রকমে বাড়ি থেকে বেরিয়ে সোজা থানায় হাজির হলেন স্ত্রী। বুধবার রাতে তিলজলা থানার তপসিয়া রোডের ঘটনা। ঘটনার পরে স্ত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার ওয়াহিদ আলি (৫৩) নামে ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
অভিযোগকারিণী বছর পঁয়ত্রিশের ওই মহিলা পুলিশকে জানান, ১৯৯৮ সালে তাঁর সঙ্গে তপসিয়া রোডের বাসিন্দা ওয়াহিদের বিয়ে হয়। ওয়াহিদ কিছুই করেন না। বাড়ি ভাড়ার টাকা এবং বিউটি পার্লারের কাজের বেতন দিয়ে মহিলাই সংসার চালান। তাঁর অভিযোগ, প্রায়ই স্বামী তাঁর উপরে মানসিক ও শারীরিক অত্যাচার চালান।
পুলিশ জানায়, বুধবার সন্ধ্যায় এক বন্ধুর বাড়িতে ছিলেন ওই মহিলা। রাত হয়ে যাওয়ায় স্বামী তাঁকে ফোন করেন। মহিলার দাবি, তিনি স্বামীকে জানান দেরি হয়ে গিয়েছে। তিনি রাস্তায়। অভিযোগ, তা শুনে ফোনেই তাঁকে গালিগালাজ শুরু করেন ওয়াহিদ। মহিলা ফোন কেটে দিলে বার বার ওয়াহিদ তাঁকে ফোন করতে থাকেন। স্ত্রীর অভিযোগ, বাড়ির কাছাকাছি পৌঁছে তিনি দেখেন স্বামী মাঝরাস্তায় দাঁড়িয়ে। তিনি বাড়িতে ঢুকলে তাঁর পিছু পিছু স্বামী বাড়ি ঢোকেন ও ঢুকেই ফের গোলমাল শুরু করেন। অভিযোগ, এক সময়ে স্বামী পিস্তল বার করে তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন।
মহিলা জানান, তিনি কোনও রকমে বাড়ি থেকে বেরিয়ে দৌড়ে সোজা তিলজলা থানায় পৌঁছন। রাতে পুলিশ বাড়িতে এলেও ওয়াহিদ বাড়ি ছেড়ে পালান। ঘরে তল্লাশি চালিয়ে শৌচাগার থেকে দু`টি সেভেন এমএম দেশি পিস্তল ও ১০টি কার্তুজ উদ্ধার করে পুলিশ। এ দিন অন্য এলাকা থেকে ওয়াহিদকে ধরা হয়।
ওয়াহিদ কোথা থেকে রিভলভার এবং কার্তুজ পেল জানতে তাকে জেরা করছে পুলিশ। অভিযোগকারিণীর দাবি, এর আগেও স্বামী মারধর করায় তিনি থানায় অভিযোগ করেছিলেন। তখন সব মিটমাট হয়ে গেলেও ফের একই ঘটনা ঘটতে থাকে। তাঁর অভিযোগ, এক বার বোতল ভেঙে তাঁর মাথায় আঘাত করেছিলেন স্বামী।