প্রতীকী ছবি।
বিনা খরচে কোভিড পরীক্ষার টোপ দিয়ে আসতে পারে ইমেল অথবা এসএমএস। সোশ্যাল মিডিয়ায় এমনই বার্তা দিয়ে অথবা প্রতারণামূলক এমন ইমেল বা এসএমএসের মাধ্যমেই এ দেশে সাইবার হানার ছক কষছে চিনা হ্যাকারেরা। এই পরিস্থিতিতে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে সাধারণ নাগরিকদের সচেতন করল হাওড়া সিটি পুলিশ।
লকডাউনে এমনিতেই হাওড়া-সহ বিভিন্ন এলাকায় বেড়ে গিয়েছে অনলাইনে ব্যাঙ্ক জালিয়াতির মতো সাইবার অপরাধের ঘটনা। অজানা কাউকে ব্যক্তিগত এবং ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত তথ্য কোনও ভাবে না দেওয়ার আবেদন জানানো সত্ত্বেও বারবার এই ফাঁদে পা দিয়ে প্রতারিত হচ্ছেন বহু মানুষ। এর মধ্যে সম্প্রতি লাদাখে ভারত-চিন উত্তপ্ত পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে চিনের দিক থেকে সাইবার আক্রমণ হতে পারে বলে দেশ জুড়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। সেই কারণে পুলিশ এখন থেকেই হাওড়াবাসীকে সতর্ক করতে শুরু করেছে বলে জানাচ্ছেন হাওড়ার সাইবার অপরাধ দফতরের এক কর্তা।
তিনি বলেন, ‘‘হাওড়া সিটি পুলিশের ফেসবুক পেজে এ বিষয়ে নানাবিধ সাবধানতা অবলম্বন করতে সাধারণ মানুষের কাছে আবেদন করা হয়েছে। জানানো হয়েছে যে, অচেনা কারও পাঠানো কোনও ইমেলের ‘অ্যাটাচমেন্ট’-এ লুকিয়ে থাকতে পারে বিপদ। তাই এই ধরনের ‘ফাইল’ খোলার আগে যথেষ্ট সচেতন হতে হবে।’’
পুলিশ জানিয়েছে, অপরিচিত কোনও জায়গা থেকে আসা ইমেল, এসএমএস বা সোশ্যাল মিডিয়ায় আসা কোনও বার্তার সঙ্গে থাকা ফাইল বা লিঙ্ক না-খোলাই ভাল। ইমেল বা এসএমএসের প্রেরক পরিচিত হলেও ‘অ্যাটাচমেন্ট’ খোলার ক্ষেত্রে অতি সতর্ক থাকতে হবে সকলকে। অপরিচিত কোনও ওয়েবসাইটে যাতে কেউ ব্যক্তিগত ও ব্যাঙ্ক সংক্রান্ত তথ্য না দেন, সেই আবেদনও করা হয়েছে হাওড়া পুলিশের ওই ফেসবুক পোস্টে।
পুলিশ জানায়, বিনা খরচে কোভিড পরীক্ষা, ক্যাশব্যাক, পুরস্কার জেতা-সহ নানা ধরনের প্রলোভন এসএমএস এবং ইমেলের মাধ্যমে পাঠাতে পারে হ্যাকারেরা। প্রতারণার উদ্দেশ্যেই ncov2019@gov.in —এই ঠিকানা থেকে সাধারণ মানুষকে ইমেল করা হবে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে সতর্ক করা হয়েছে। হাওড়া সিটি পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘বর্তমানে সারা দেশেই সাইবার আক্রমণের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। তাই আগাম প্রচার করা হচ্ছে। আমরা চাইছি এ নিয়ে মানুষ আতঙ্কিত না হয়ে বরং সতর্ক হোন।’’