ফাইল চিত্র।
র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট করাতে এ বার বাড়ির দরজায় পৌঁছে যাবে হাওড়া পুরসভা। বহুতল আবাসনগুলিতে গিয়ে সেখানকার বাসিন্দাদের বিনামূল্যে পরীক্ষা করা হবে। তবে এ জন্য সংশ্লিষ্ট আবাসন কর্তৃপক্ষকে আবেদন করতে হবে।
অন্য দিকে, বিভিন্ন এলাকায় র্যাপিড টেস্ট করানোর যে কর্মসূচি চলছে, তা আরও বিস্তৃত হবে। পুরসভা সূত্রের খবর, আগামী কয়েক দিন ছ’টি পুর প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রেও এই র্যাপিড টেস্টের শিবির হবে।
করোনা প্রতিরোধক অ্যান্টিজেন শরীরে তৈরি হয়েছে কি না তা জানতে র্যাপিড টেস্টের উপরে জোর দিয়েছে জেলা স্বাস্থ্য দফতর। সে কারণে এই পদক্ষেপ। শনিবার পুরসভা বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়েছে, এই পরীক্ষা করাতে ইচ্ছুক কমপক্ষে ৫০ জন বাসিন্দা জোগাড় হলে তবেই আবাসন কর্তৃপক্ষ পুরসভার কাছে শিবির করার আবেদন জানাতে পারবেন।
পুর স্বাস্থ্য দফতরের এক পদস্থ অফিসার বলেন, ‘‘কোনও আবাসনে একসঙ্গে বেশ কয়েক জন বাসিন্দার অ্যান্টিজেন পরীক্ষার রিপোর্ট পজ়িটিভ এলে সেখানকার বাসিন্দাদের করোনা পরীক্ষা করাতে জোর দেওয়া হবে।’’ ওই অফিসার জানান, আবাসনে গিয়ে অ্যান্টিজেন পরীক্ষার কাজ শুরু হবে আগামী মাসের প্রথমেই।
এ জন্য দু’টি হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর দেওয়া হচ্ছে। নম্বরগুলি, ৬২৯২২৩২৮৭০ এবং ৮৭১। এই দু’টি নম্বরে ফোন করেও আবাসনে শিবিরের আবেদন করা যাবে।
পুরসভা জানিয়েছে, শিবিরের জন্য আবাসন কর্তৃপক্ষকেই চত্বরের খোলা জায়গা দিতে হবে। নয়তো দূরত্ব-বিধি মেনে এই পরীক্ষা করা যাবে না।
জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, শহরে বেশি সংখ্যক অ্যান্টিজেন ও করোনা পরীক্ষায় সুফল পাওয়া গিয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় এই জেলায় নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা শুক্রবার একশোর নীচে নেমে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে অ্যান্টিজেন ও করোনা পরীক্ষার সংখ্যা বাড়াতে তৎপর হয়েছেন জেলার স্বাস্থ্যকর্তারা।
পুরসভা সূত্রের খবর, আজ, রবিবার ছুটির দিন এবং কাল, সোমবার লকডাউনের দিনেও করোনা পরীক্ষার নমুনা সংগ্রহ করা হবে। রবিবার শিবির হবে ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের ১৮, জেলিয়াপাড়া লেনে পুরসভার প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। সোমবার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের পুর প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের পাশে ছাত্রদল ক্লাবে শিবির হবে। ১ সেপ্টেম্বর থেকে ২, ৮ এবং ১২ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়মিত করোনা পরীক্ষার নমুনা সংগ্রহ হবে।