প্রতীকী ছবি
রাস্তা থেকে ভ্যাট তুলে দিতে তোড়জোড় শুরু করল হাওড়া পুরসভা।
শনিবার মধ্য হাওড়ার জি টি রোড সংলগ্ন ন’টি আবাসনের কয়েক জন ফ্ল্যাটমালিককে ডেকে জানিয়ে দেওয়া হল, এ বার থেকে পুরসভার দেওয়া দু’টি পাত্রের মধ্যে পচনশীল ও অপচনশীল আবর্জনা আলাদা করে তাঁদের ফেলতে হবে। যা আবাসনগুলির গেটের সামনে থেকে সংগ্রহ করে জৈব সার তৈরির জন্য নিয়ে যাওয়া হবে। এই কারণে ফজিরবাজারের কাছে জি টি রোডের উপরে থাকা ভ্যাটটি ভেঙে দেওয়া হবে। আগামী দিনে এ ভাবেই জি টি রোড, বেনারস রোড-সহ বিভিন্ন রাস্তার ভ্যাট ভেঙে দেওয়া হবে।
হাওড়ায় প্রতিদিন জঞ্জাল হয় ৮০০ টন। বেলগাছিয়া ভাগাড়ে জায়গা না থাকায় এত পরিমাণ জঞ্জাল কী ভাবে অপসারণ করা যায়, তা নিয়ে ভাবনা-চিন্তা চলছিল গত এক দশক ধরে। সম্প্রতি কয়েকটি বেসরকারি সংস্থা ও ‘ইউনাইটেড নেশনস ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম’ (ইউএনডিপি)-এর সাহায্যে পুরসভা কঠিন বর্জ্য অপসারণ ব্যবস্থা চালু করতে চলেছে।
পুর কমিশনার বিজিন কৃষ্ণ এ দিন বলেন, ‘‘জি টি রোডের মল্লিকফটক থেকে ফজিরবাজার এলাকার ন’টি আবাসন থেকে দৈনিক গড়ে তিন টন করে আবর্জনা পুরসভাকে সরাতে হয়।’’ তিনি জানান, এ দিন সেখানকার বাসিন্দাদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ওই আবর্জনা দু’টি পাত্রে আলাদা ভাবে সংগ্রহ করা হবে। পরে বিশেষ আবর্জনা তোলার ই-রিকশা করে নিয়ে যাওয়া হবে সার তৈরির কেন্দ্রে। ওই কেন্দ্রটি তৈরির কাজ দ্রুত শুরু হবে। আবর্জনা সংগ্রহের জন্য সমস্ত ফ্ল্যাটমালিকের থেকে মাসে কিছু টাকা নেওয়া হবে বলেও কমিশনার জানান।