—ফাইল চিত্র।
করোনা পরিস্থিতিতে সংক্রমণের ছোঁয়া এড়াতে এ বার পুরোপুরি ভাবে ই-গভর্ন্যান্সের পথে হাঁটছে হাওড়া পুরসভা। করোনা আবহে হাওড়া পুরসভায় অনলাইনে সম্পত্তি কর জমা দেওয়া, লাইসেন্সের পুনর্নবীকরণের মতো পরিষেবা ইতিমধ্যেই চালু হয়েছে। আগামী সপ্তাহের মধ্যেই শুরু হচ্ছে জন্ম-মৃত্যুর শংসাপত্র অনলাইনে দেওয়ার কাজ। এর পাশাপাশি পুর আধিকারিক ও কর্মীরা যাতে বাড়ি থেকেই কাজ করতে পারেন, তার জন্য বিভিন্ন দফতরে ই–গভর্ন্যান্স চালু করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
হাওড়া পুরসভা সূত্রের খবর, গত মার্চ মাস থেকে করোনা ও আমপান ঘূর্ণিঝড়ের পরে হাওড়া পুরসভায় রাজস্ব আদায় প্রায় তলানিতে পৌঁছয়। তখন থেকেই পুরসভায় সার্বিক ভাবে অনলাইনে রাজস্ব আদায়ের প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছিল। এক পদস্থ পুর কর্তা জানাচ্ছেন, আগে অনলাইনে সম্পত্তি কর ও লাইসেন্স ফি জমা দেওয়ার ব্যবস্থা ছিল। কিন্তু তখন অনেকেই অনলাইনে কী করে টাকা জমা করতে হয়, সেই পদ্ধতি বুঝতে পারতেন না বলে সেই পরিষেবা ব্যবহার করতেন না। পুরসভায় এসেই সম্পত্তি কর জমা করতেন তাঁরা। কিন্তু গত মে মাসের পরে পুরসভার পক্ষ থেকে অনলাইন পরিষেবায় জোর দেওয়া হয়। ফলে বর্তমানে অনলাইনে সম্পত্তি কর ও লাইসেন্স ফি জমা দেওয়ার প্রবণতা কয়েক গুণ বেড়ে গিয়েছে। পুরসভার ওই কর্তা বলেন, ‘‘করোনা আবহে অনেকেই বাড়িতে বসেই
সম্প্রতি অনলাইনে এক দিনে প্রায় ১১ লক্ষ টাকা সম্পত্তি কর জমা পড়েছে। এক দিনে অনলাইনে লাইসেন্স ফি জমা পড়েছে প্রায় ২২ লক্ষ টাকা। এক দিনে এত টাকা রাজস্ব আদায়ের ঘটনা সত্যিই অনলাইন পরিষেবার সাফল্যকেই প্রমাণ করে।’’
গত কয়েক মাসের মধ্যে হাওড়া পুরসভার আধিকারিক কর্মী মিলিয়ে প্রায় ৪০ জন কোভিড আক্রান্ত হন। ফলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, ফাইল দেখা ও ছাড়া-সহ বিভিন্ন প্রশাসনিক কাজকর্ম পুর আধিকারিক-কর্মীরা বাড়িতে বসেই করতে পারবেন। সেই কারণে বিভিন্ন ফাইলকে অনলাইন ব্যবস্থার মধ্যে আনা হবে। পুরসভার বক্তব্য, ছোঁয়াচ এড়াতে ‘হার্ড কপি’ বা কাগজের ফাইল আস্তে আস্তে তুলে দেওয়া হবে। সংশ্লিষ্ট কোনও আধিকারিক বাড়ি থেকে কাজ করলে যাতে কোনও কাজ ব্যাহত না হয়, সে ভাবেই ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
হাওড়া পুরসভার এক পদস্থ কর্তা জানিয়েছেন, ধাপে ধাপে সব বিভাগেই এই ব্যবস্থা চালু করা হবে। এর জন্য রাজ্য সরকারের বিশেষ সফটওয়্যার ব্যবহার করা হচ্ছে। কোনও কোনও ক্ষেত্রে কর্মীদের প্রশিক্ষণেরও ব্যবস্থা করা হবে।