—প্রতীকী ছবি
তোলাবাজির টাকা না দেওয়ায় এক গৃহবধূ ও তাঁর পরিবারকে মারধর করার অভিযোগ উঠল স্থানীয় এক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। মারধরে গুরুতর জখম হয়েছেন ওই বধূ। বুধবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে নরেন্দ্রপুর থানার রাধানগর এলাকায়। বৃহস্পতিবার রাতে ওই নেতা ও তাঁর অনুগামীদের বিরুদ্ধে নরেন্দ্রপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রের খবর, ওই দিন স্থানীয় তৃণমূল নেতা নারদ নস্কর ও তাঁর অনুগামীরা রাধানগর এলাকার বাসিন্দা, পেশায় বেসরকারি সংস্থার নিরাপত্তারক্ষী অরুণ ঘোষ ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের উপরে চড়াও হয়ে তাঁদের মারধর করেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর দেড়েক আগে কামরাবাদ এলাকার রাধানগর উত্তরপাড়ায় একটি ছোট টিনের বাড়ি করে কোনও রকমে দিন কাটাচ্ছিলেন অরুণবাবু। অভিযোগ, স্থানীয় একটি ক্লাবের লোকজন বাড়ি করার সময় থেকেই ১০ হাজার টাকা দেওয়ার জন্য অরুণবাবুর উপরে চাপ দিচ্ছিলেন। আর্থিক অনটনে টাকা দিতে পারছিলেন না অরুণবাবু। অভিযোগ, এর পর থেকে নানা ভাবে তাঁকে হুমকি দেওয়া হচ্ছিল।
আরও অভিযোগ, টাকা দিতে না পারায় বুধবার স্থানীয় ক্লাবের সদস্য তথা নারদের অনুগামীরা জোর করে অরুণবাবুর পরিবারের বিদ্যুৎ সংযোগ কেটে দেয় ও তাঁদের এলাকাছাড়া করার হুমকি দেয়। প্রতিবাদ করলে বেধড়ক মারধর করা হয় অরুণবাবু ও তাঁর স্ত্রী সোমাকে। গুরুতর জখম অবস্থায় সোমাকে সুভাষগ্রাম গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
যদিও মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করে ঘটনার মূল অভিযুক্ত, স্থানীয় তৃণমূল নেতা নারদ বলেন, “বেআইনি ভাবে হুকিং করে ওই বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ করা হয়েছিল। তা কেটে দেওয়া হয়েছে। কোনও টাকা চাওয়া হয়নি। মারধরও করা হয়নি।”
তাঁর পাল্টা অভিযোগ, “ওই পরিবারের এক মহিলা সদস্য গ্রামের দুই মহিলাকে মারধর করেছেন। পাশাপাশি গ্রামের মহিলাদের গালিগালাজ করায় তাঁরাই গিয়ে ওঁদের মারধর করেছেন।”
বাসিন্দাদের বক্তব্য, করোনা আবহে মানুষ কাজ হারিয়ে যখন দিশাহারা, তখন তৃণমূল কর্মীদের এমন আচরণ নিন্দনীয়। ঘটনার নিন্দা করেছেন দক্ষিণ ২৪ পরগনা (পূর্ব) জেলার বিজেপির সহ-সভাপতি বসন্ত শেঠিয়া। তিনিবলেন, “তৃণমূলের এটাই সংস্কৃতি। পুলিশ ব্যবস্থা নিক।” শুক্রবার রাত পর্যন্ত ওই ঘটনায় কেউ গ্রেফতার হয়নি বলে পুলিশ সূত্রের খবর।