প্রতীকী ছবি।
শহরে ফের ভেঙে পড়ল পুরনো বাড়ি। উত্তর কলকাতার পাথুরিয়াঘাটায় একটি পুরনো বাড়ি ভেঙে পড়ে বুধবার রাতে। মারা গিয়েছেন এক মহিলা। আহত এক নাবালক-সহ আরও দু’জন। আহতদের চিকিৎসা চলছে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত রয়েছেন কলকাতা পুলিশের আধিকারিকরা। ঘিরে রাখা হয়েছে ঘটনাস্থল।
পুলিশ সূত্রে খবর, বুধবার রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ পাথুরিয়াঘাটায় প্রায় ১০০ বছর পুরনো একটি পাঁচ তলা বাড়ির তিন তলার একটি অংশ ভেঙে পড়ে। বিকট শব্দে বাড়ির বাসিন্দারা ভয়ে বাইরে বেরিয়ে চলে আসেন। খবর দেওয়া হয় দমকলে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে ওই ধ্বংসস্তূপে আটকে পড়েন এক দম্পতি এবং এক নাবালক। দমকলের সাহায্যে রাত তিনটে নাগাদ ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে তাঁদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হলে হাসপাতালেই মৃত্যু হয় এক মহিলার। বাকি দু’জনের চিকিৎসা চলছে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে। ওই মহিলার স্বামীর পরিস্থিতি আশঙ্কাজনক।
পুলিশ আরও জানিয়েছে, বাড়িটিকে কলকাতা পুরসভার পক্ষ থেকে বিপজ্জনক বাড়ি হিসেবে ঘোষণা করে দেওয়া হয়েছিল। সতর্কতামূলক বোর্ডও টাঙানো ছিল বাড়ির দেওয়ালে। তা সত্ত্বেও বাড়িটিতে প্রায় ৩০-৪০ জন বাসিন্দা বসবাস করছিলেন। এই দুর্ঘটনার পর বাড়িটির মালিকপক্ষ এবং পুরসভার উপর ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন বাসিন্দারা। ওই বাড়ির এক বাসিন্দা বলেন, “এক সপ্তাহ আগেও বাড়িটির একাংশ ভেঙে পড়েছিল। গত ২০ বছর ধরে বাড়িটিতে কোনও মেরামতের কাজ হয়নি। বার বার বলেও কোনও কাজ হয়নি। বাড়িটি সারানোর মতো ক্ষমতা তাঁদের নেই। বাড়িটির হাল ক্রমে খারাপ হতে থাকলেও তাঁদের কিছু করার ছিল না। মালিক বা পুরসভা কখনই কোনও পদক্ষেপ করেনি।''
প্রসঙ্গত, এ বছর জানুয়ারিতে মহাত্মা গান্ধী রোডের উপর অবস্থিত পূরবী সিনেমা হলের কাছে একটি বাড়ির একাংশ ভেঙে পড়লে পাঁচ জন আহত হন। তার আগে ওই মাসেই বিবি গাঙ্গুলি স্ট্রিটের উপরে থাকা বৌবাজার বাজারের দোতলার ঝুলবারান্দার একাংশ ভেঙে পড়েছিল। যদিও সেই ঘটনায় কেউই হতাহত হননি। গত বছর ডিসেম্বরে পুরনো বসত বাড়ি ভেঙে মৃত্যু হয় এক প্রৌঢ়ার। ফের বাড়ি ভাঙার ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়।