নতুন আলোর সাজ। সল্টলেক স্টেডিয়ামের সামনে। ছবি: শৌভিক দে
শহরে অনূর্ধ্ব ১৭ বিশ্বকাপের আয়োজনে হাতে বরাদ্দ ১৫ দিন। সেই উপলক্ষে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন সংলগ্ন এলাকা থেকে সরিয়ে নেওয়া হবে যাবতীয় হোর্ডিং এবং তার কাঠামো। বিশ্বকাপ চলাকালীন কেবলমাত্র ফিফার হোর্ডিং এবং ওই সংক্রান্ত হোর্ডিংই থাকবে। এমনই সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর।
শহরে দেশি-বিদেশি অতিথিদের স্বাগত জানাতে পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের নজর এখন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পার্শ্ববর্তী যশোর রোড থেকে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে যাওয়ার বিশ্ব বাংলা সরণি এবং ইস্টার্ন মেট্রোপলিটন বাইপাসের পরমা আইল্যান্ড পর্যন্ত রাস্তা। যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনকে কেন্দ্র করে সৌন্দর্যায়নের কাজের গতি আনতে সম্প্রতি উত্তর ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন এবং ওই এলাকার সংশ্লিষ্ট স্থানীয় প্রশাসনগুলির সঙ্গে যৌথ পরিদর্শনে করে রাজ্য পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর।
দফতরের এক শীর্ষকর্তা জানান, এর পরেই বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে। তারই একটি, হোর্ডিং। এ ছাড়া সংশ্লিষ্ট রাস্তাগুলির ধারে যাতে কোনও ভাবে আবর্জনা এবং ইমারতি দ্রব্য পড়ে না থাকে সে জন্য নিয়মিত বিশেষ সাফাই অভিযান করতে হবে স্থানীয় প্রশাসনগুলিকে। পরিচ্ছন্ন এবং দখলদারমুক্ত রাখতে হবে
সার্ভিস রোডগুলিকে। সেগুলিও দখল মুক্ত করতে হবে। উল্লিখিত এলাকার রাস্তাগুলির পরিচ্ছনতা এবং আলো জ্বালানোর ক্ষেত্রেও দায়িত্ব থাকবে ওই এলাকার স্থানীয় প্রশাসনের। প্রতি দিন দু’বার করে রাস্তাঘাট সাফাইয়ের পাশাপাশি নিকাশিনালা, ফুটপাথ, মিডিয়ানগুলি রক্ষণাবেক্ষণ করার দায়িত্বও
থাকবে তাদেরই।
ইতিমধ্যেই যুবভারতীর সামনে ইএম বাইপাসের সুভাষ সরোবর থেকে বেলেঘাটা কানেক্টর পর্যন্ত মি়ডিয়ান ডিভাইডারে রং করে সামনে রাখা হয়েছে বাহারি গাছের লম্বাটে সবুজ চাকা লাগানো ধাতব টব। ওই অংশের বাইপাস ও সার্ভিস রোডের মাঝের অংশ সৌন্দর্যায়ন করতে বুলডোজার দিয়ে আবর্জনা সরিয়ে বাগান করা হচ্ছে। সেখানে নকশা করা আলো ও চেয়ার বসানো হবে। উল্টোডাঙা থেকে গড়িয়া ঢালাই ব্রিজ পর্যন্ত বাইপাসের দু’ ধার সাজাতে সবুজ রঙের কঞ্চির বেড়া দিয়ে ঘিরে বিভিন্ন ধরনের বাহারি গাছ বসানো হয়েছে। পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর এ কাজের দায়িত্ব দিয়েছে কলকাতা মেট্রোপলিটন ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (কেএমডিএ)-কে। কেএমডিএ সূত্রের খবর, কাজ চলছে যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে।