চিকিৎসক সঞ্জয় বন্দ্যোপাধ্যায়।
বিশ্বজুড়ে চিকিৎসা বিজ্ঞান করোনা প্রতিষেধক টিকা আবিষ্কারের দিকে ঝুঁকেছে। পিছিয়ে নেই হোমিওপ্যাথ চিকিৎসকরাও। সত্যিই কি হোমিওপ্যাথিতে করোনা প্রতিরোধ সম্ভব? বর্ষীয়ান চিকিৎসক সঞ্জয় বন্দ্যোপাধ্যায় মনে করছেন, ‘‘করোনা প্রতিরোধে বড় ভূমিকা নেয় হোমিওপ্যাথি। দেশে-বিদেশে আমার প্রচুর ছাত্র রয়েছে। দেখেছি, চিকিৎসার এই পদ্ধতি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।’’
সঞ্জয়ের দাবি, ‘‘হোমিওপ্যাথিতে রোগীর চিকিৎসা করা হয়। রোগের নয়। এখানে রোগীকে চিনতে হয়। রোগের নাম জেনে ওষুধ দেওয়া হয় না। ইনফ্লুয়েনজায় কারও ব্রায়োনিয়া লাগতে পারে, কারও রাক্সটাক্স লাগতে পারে। ওষুধ নির্ভর করে উপসর্গের উপর। করোনার উপসর্গ অনেক রোগের সঙ্গে মেলে। সেই সব রোগে যে ওষুধ কাজ করে, তা করোনা প্রতিরোধেও কাজ করে।’’ একটু থেমে জুড়ে দিলেন, ‘‘ছাত্রদের বলেছি ‘আর্সেনিক অ্যালবাম থার্টি’ ওষুধটা প্রয়োগ করতে। ওই ওষুধ ব্যবহার করার পর আমরা রোগীদের নানা তথ্য সংগ্রহ করে পড়াশোনা করেছি। দেখা গিয়েছে, আর্সেনিক অ্যালবাম ওষুধটি যে যে রোগে ব্যবহার হয়, তার সঙ্গে করোনার উপসর্গের মিল রয়েছে। ফলে এই ওষুধ করোনার প্রতিষেধক হিসাবেও কাজ করে। এই ওষুধ খাওয়ার নির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে। চারটে করে গুলিতে এক ডোজ। চারটে করে গুলি সকাল-সন্ধ্যা দু’বার করে দু’দিন খেতে হবে। তার ৮ দিন পর আবার ওই ভাবে খেতে হবে। এমন ভাবে ৪ সপ্তাহ চলবে। এর পরও যদি করোনা থাকে, তা হলে ওই ভাবে খেয়ে যেতে হবে।’’
সঞ্জয় বলছেন, হোমিওপ্যাথিতে দুরারোগ্য রোগেরও চিকিৎসাও সম্ভব। তাঁর দাবি, ‘‘দুরারোগ্য রোগ, যেমন ক্যানসারের চিকিৎসাও হোমিওপ্যাথিতে সম্ভব। বংশপরম্পরায় ক্ষয় রোগের চিকিৎসাও আমরা করতে পারি। দীর্ঘ ৬০ বছরের উপর চিকিৎসাজীবনে এমন অনেক ম্যাজিক দেখেছি। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ক্যানসার রোগীর কেমোথেরাপি চলার সময়ও কাজ করে হোমিওপ্যাথ ওষুধ। আসলে পুরনো দুরারোগ্য রোগের কারণ ‘জিনের কোষ’ বা ‘ধাতুগত দোষ’।’’ সঞ্জয়ের বক্তব্য, ‘‘হোমিওপ্যাথি চিকিৎসার অনেক গুণ দীর্ঘ চিকিৎসাজীবনে দেখেছি। তা মানষের কাজে লাগাতে চাই। সে জন্যই একটা জেনেটিক ক্লিনিক খুলেছি। যেখানে পরিবারের পরের প্রজন্ম বংশ ইতিহাসের জটিল দুরারোগ্য রোগ থেকে মুক্ত হতে পারে।’’
আরও পড়ুন: গরুর গাড়ি নিয়ে রাজভবনে কৃষকরা, অনড় নয়া কৃষি আইন বাতিলেই
আরও পড়ুন: রাতের কলকাতায় পর পর দুর্ঘটনা, বেপরোয়া গতির বলি দুই কিশোরও