—ফাইল চিত্র।
টালা ব্রিজের তলায় বসবাসকারী ৬৫টি পরিবারের প্রায় ২০০ জন মানুষ ‘উপযুক্ত পুনর্বাসন’ ছাড়া সরতে নারাজ। রেলওয়ে সাইডিং-এর পাশে অস্থায়ী ভাবে তাঁদের থাকার ব্যবস্থা করা হলেও ওই বাসিন্দারা জানান, ৬৫টি পরিবারের মধ্যে মাত্র ৩০-৩৫টি পরিবারের ত্রিপলের অস্থায়ী ঠাঁই মিলেছে। তাঁরা ঠিকঠাক পুনর্বাসন চান। এই দাবিতে শুক্রবার রাত ৯টা নাগাদ টালা ব্রিজ অবরোধ করেন তাঁরা। পরে তা উঠে যায়। ওই বাসিন্দাদের দাবি, পুলিশ তাঁদের মারধর করেছে এবং জামাকাপড় ছিঁড়ে দিয়েছে। পুলিশ এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
প্রসঙ্গত, রেলের আওতাধীন ইঞ্জিনিয়ারিং নির্মাণ উপদেষ্টা সংস্থা ‘রাইটস’ জানিয়েছিল, টালা ব্রিজের অবস্থা খারাপ এবং তারা গাড়ি চলাচল পুরোপুরি বন্ধ করার সুপারিশ করে। কিন্তু পুজোর মুখে সেতু বন্ধ করলে যানজটের সমস্যা এবং মানুষের ভোগান্তি হবে। তাই বড় গাড়ি বন্ধ এবং ছোট গাড়ির গতি নিয়ন্ত্রণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য। আর ব্রিজের তলা থেকে বাসিন্দাদেরও সরানো হচ্ছে।
শুক্রবার পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘‘গাড়ি চলাচল করা সম্ভব কি না, তা পূর্ত দফতর এবং রাইটসের বিশেষজ্ঞরা খতিয়ে দেখেছিলেন। তার ভিত্তিতেই এই সিদ্ধান্ত হয়েছে। পুজোর পরে রাইটস এবং পূর্ত দফতরের বিশেষজ্ঞরা ফের সেতুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করবেন।’’ সংস্কার করলেই কি টালা সেতুর হাল ফেরানো সম্ভব? পূর্তমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস বলেন, ‘‘আরও কিছু পরীক্ষা প্রয়োজন।’’
টালা ব্রিজের বর্তমান পরিস্থিতির কারণে রেল এবং মেট্রো রেলকে পরিষেবা কিছুটা বাড়ানোর অনুরোধ করবে রাজ্য। নোয়াপাড়া পর্যন্ত বেশি ট্রেন চালানোর জন্যও মেট্রো কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করা হচ্ছে বলে নবান্নের খবর। শহরে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের জোগান স্বাভাবিক রাখতেও ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে আলোচনা করেছে সরকার।