কয়েক দিন আগেই নবান্নে বোমা রাখা আছে বলে উড়ো ফোন গিয়েছিল। তদন্তে নেমে কালীঘাটের এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। পুলিশ দাবি করেছিল, ওই ব্যক্তি মানসিক ভারসাম্যহীন। এ বার লালবাজারে ১০০ ডায়ালে ফোন করে হিন্দিতে এক যুবক বললেন, ‘‘কলকাত্তা মে ধামাকা হোগা।’’ এতেই শেষ নয়। লালবাজারের পরে লেক থানার ল্যান্ডলাইনে ওই যুবকই ফোন করে বললেন, ‘‘আমি দাউদ।’’ ব্যস, আর যায় কোথায়! শুক্রবার বিকেলে ওই দুই ফোন পেয়ে শুরু হয়ে যায় ছোটাছুটি।
অনেক দৌড়ঝাঁপ করে গড়িয়াহাট থানা এলাকার কাঁকুলিয়া থেকে ২২ বছরের ওই যুবককে শেষমেশ গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতের নাম অনির্বাণ সান্যাল। জানা গিয়েছে, নিজের মোবাইল থেকেই ১০০ ডায়ালে ফোন করেছিলেন অনির্বাণ। উত্তর কলকাতার একটি কলেজের তৃতীয় বর্ষের ওই ছাত্র জেরার মুখে প্রথমে জানান, নিছক মজা করার জন্যই ফোন করেছিলেন। পরে বয়ান বদলে জানান, চারপাশে এত বোমা ফাটছে। তাই, তিনি দেখতে চেয়েছিলেন যে কলকাতা পুলিশ কতটা সতর্ক আছে।
শুধু ১০০ ডায়ালে ফোন করেই এ দিন ক্ষান্ত হননি অনির্বাণ। সেখানে ওই একটি বাক্য বলে ফোন কেটে দিয়ে লেক থানার ল্যান্ডলাইনেও ফোন করেন। অফিসার ফোন তুলতেই শুধু ‘‘আমি দাউদ’’, বলে ফোন কেটে দেন তিনি। তদন্তে নেমে পুলিশ অফিসারেরা দেখেন, ওই দু’টি ফোন একটি মোবাইল থেকেই করা হয়েছে। এবং ফোনটি এসেছে গড়িয়াহাট এলাকা থেকে। ওই মোবাইল নম্বরের সূত্র ধরে যুবকের বাড়ির ঠিকানা পেয়ে যায় পুলিশ। এর পরেই ওই ছাত্রের বাড়িতে হানা দেন গড়িয়াহাট থানার তদন্তকারী অফিসার। ভুয়ো ফোন করে হুমকি দেওয়ার অভিযোগে অনির্বাণকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশের দাবি, তাঁর বাবা একটি নামী স্কুলের শিক্ষক।
নবান্নে ওই উড়ো ফোনের দু’দিন পরেই ই এম বাইপাসের ধারে একটি ক্লাব উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে পুলিশের হাতে ধরা পড়েছিলেন নৈহাটির এক যুবক। গত বুধবার আপ দার্জিলিং মেলের একটি কামরায় পরিত্যক্ত ব্যাগ পড়ে থাকা নিয়েও আতঙ্ক ছড়িয়েছিল।