—প্রতীকী চিত্র।
লোকসভা নির্বাচনে কোনও রাজনৈতিক দলের তরফেই পরিবেশ সংক্রান্ত বিষয়কে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না বলে সরব হয়েছিলেন পরিবেশকর্মী থেকে পরিবেশ সচেতন নাগরিকদের একাংশ। একই আক্ষেপের সুর শোনা গেল ইতিহাসবিদ সুগত বসুর কথায়। সোমবার নিউ টাউনে ‘বিশ্ব বাংলা কনভেনশন সেন্টার’-এ পর্ষদের ৫০ বছর পূর্তি ও বিশ্ব পরিবেশ দিবস উদ্যাপনে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি জানান, সদ্য লোকসভা নির্বাচন শেষ হয়েছে। অথচ এই সময়ে যে বিষয়টিকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়ার দরকার ছিল, সেই জলবায়ু পরিবর্তনকে রাজনৈতিক দলগুলি গুরুত্বই দেয়নি।
এ দিন সুগত ‘দ্য গ্যাঞ্জেটিক ডেল্টা অ্যান্ড দ্য বে অব বেঙ্গল, কন্টেম্পোরারি লেশনস ফ্রম এনভায়রনমেন্টাল হিস্ট্রি’ শীর্ষক আলোচনায় বক্তব্য রাখেন। সেখানে তিনি জানান, পরিবেশের আরও ক্ষতি আটকাতে সামাজিক আন্দোলন দরকার। যার মাধ্যমে কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারের উপরে চাপ সৃষ্টি করা যাবে।
এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গার্ডিনার চেয়ার প্রফেসর সুগত। তিনি জানান, ৫০ বছর আগে দূষণ রোধের লক্ষ্যপূরণ সহজ ছিল। বর্তমান সময়ে দূষণ রোধের বিষয়টি স্পষ্ট করা প্রয়োজন। রাজ্য পরিবেশ দফতর বিশ্ব উষ্ণায়ন এবং জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়কে সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি। তবে তাঁর আক্ষেপ, রাজনৈতিক দলগুলি পরিবেশ বিষয়ে বর্তমান এবং আগামী প্রজন্মের ক্রমাগত আশাহতের কারণ হচ্ছে।
ইতিহাসবিদের এই মন্তব্যকে তাৎপর্যপূর্ণ মনে করছেন অনেকেই। বিশেষত যে মঞ্চে রাজ্যের পরিবেশমন্ত্রী গোলাম রব্বানি, পরিবেশ দফতরের অতিরিক্ত মুখ্যসচিব রোশনি সেন, রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের চেয়ারম্যান কল্যাণ রুদ্র, পর্ষদের সদস্য সচিব রাজেশ কুমার-সহ প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কর্তারা উপস্থিত। কারণ, প্রচারে পরিবেশকে গুরুত্ব না দেওয়ার অভিযোগ অন্যদের সঙ্গে রাজ্যের ক্ষমতাসীন দলের বিরুদ্ধেও উঠেছে। এক পরিবেশবিদের কথায়, ‘‘মানুষ এত দিন যে দাবিতে সরব ছিলেন, সুগত বসুও সরকারি মঞ্চ থেকে একই বিষয় সকলকে মনে করিয়ে দিয়েছেন। রাজনৈতিক সদিচ্ছা ছাড়া যে কিছু সম্ভব নয়, তা তিনি স্পষ্ট বলেছেন।’’