উদ্যোগ: নিউ টাউনে নিকাশির মূল ভরসা এই খালের (চিহ্নিত অংশ) সংস্কার হতে চলেছে। ছবি: হিডকোর সৌজন্যে
বর্ষায় জল জমার সমস্যা থেকে নিউ টাউনকে মুক্ত করতে বছরের গোড়া থেকেই নিকাশিনালা এবং খালের সংস্কারে জোর দিচ্ছে হিডকো। সেই কাজের প্রথম পর্যায়ে ড্রোন চালিয়ে নিকাশিনালা ও খালগুলির কী অবস্থা তার ছবি তোলার কাজও শুরু হয়েছে। হিডকো সূত্রের খবর, দীর্ঘমেয়াদি সংস্কারের পরিকল্পনায় এই উদ্যোগ।
সম্প্রতি হিডকোর শীর্ষ কর্তারা নিকাশিনালা, খাল পরিদর্শন করেন। বর্ষার আগে কাজ শেষ করতে এর পরেই পরিকল্পনা করা হয়। হিডকো সূত্রের খবর, ভৌগোলিক ভাবে পার্শ্ববর্তী এলাকার থেকে নিউ টাউন কিছুটা উঁচুতে অবস্থান করছে। যাতে বর্ষার জল স্বাভাবিক ভাবে জমির ঢাল ধরে নামতে পারে সে ভাবেই পরিকল্পনা করা হয়েছিল। সেই জল বার করতে ৩০ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের নিউ টাউনের চার দিকে খাল তৈরি হয়েছিল। সেই খাল সোজা মিশেছে বাগজোলায়। যে কারণে ড্রেনেজ পাম্পিং স্টেশনও হয়েছে।
অথচ দেখা গিয়েছে, বর্ষা ছাড়া বছরের অন্য সময়ে ওই খালে জল থাকে না। বদলে খালের অনেক জায়গাই প্লাস্টিক থেকে রকমারি আবর্জনায় ভরছে। এর জেরে কোথাও কোথাও অবরুদ্ধ হয়ে গিয়েছে। ফলে পার্শ্বস্থ এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। খাল সংস্কারের পরে গার্ডওয়াল এবং স্টিলের নেট দেওয়ার চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন এক হিডকো কর্তা। খালপাড় সৌন্দর্যায়নে সবুজায়ন করার পরিকল্পনাও করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
তবে বাসিন্দাদের দাবি , শুধু খাল সংস্কার করেই সমস্যা মিটবে না। নিউ টাউনের ব্লক কিংবা আবাসন এলাকার নিকাশি খতিয়ে দেখার প্রয়োজনও রয়েছে। কিছু কিছু এলাকায় জল জমার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। তাঁদের কথায়, মাটি ফেলে উঁচু করা হয়েছিল ওই এলাকা। তার পরে অনেক বছর পেরিয়েছে। বর্তমানে ভূমির ঢালের কী অবস্থা, তা-ও খতিয়ে দেখার প্রয়োজন রয়েছে আধিকারিকদের।
হিডকোর এক কর্তা জানান, বর্ষায় শুধু নিউ টাউনই নয়, পার্শ্বস্থ এলাকাতেও যাতে জল জমার সমস্যা না থাকে সে কারণে বিস্তারিত পরিকল্পনা করা হয়েছে। আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই কাজ শেষ করার চেষ্টা চলছে বলে হিডকোর আধিকারিকেরা জানিয়েছেন।