Health Department

মৃত্যুর শংসাপত্রে কারণের পাশাপাশি এ বার লিখতে হবে কোড নম্বরও

‘কোড নম্বর’ লেখার বিষয়ে জোর দিচ্ছে স্বাস্থ্য দফতর। সেই লক্ষ্যে রাজ্যের সমস্ত জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক, হাসপাতালের সুপার এবং নোডাল অফিসারদের সঙ্গে বৈঠক করেন স্বাস্থ্যকর্তারা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৭ এপ্রিল ২০২৩ ০৭:৪৩
Share:

‘কোড নম্বর’ লেখার বিষয়ে জোর দিচ্ছে স্বাস্থ্য দফতর। প্রতীকী ছবি।

বিশ্বে কোন রোগে কত জনের মৃত্যু হচ্ছে, তার নির্দিষ্ট পরিসংখ্যান রাখার কথা বলেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। সে জন্য মৃত্যুর শংসাপত্রে কারণ লেখার সময়ে নির্দিষ্ট ‘কোড নম্বর’ উল্লেখ করার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু বাস্তবে সিংহভাগ ক্ষেত্রেই সেটি করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ। কারণ, শংসাপত্রে শুধুমাত্র মৃত্যুর কারণ লিখেই ছেড়ে দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। আর পরে পোর্টালে নথিভুক্ত করার সময়ে নিজেদের মতো করে একটি ‘কোড নম্বর’ দিয়ে দিচ্ছেন কর্মীরা। ফলে যথাযথ তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না।

Advertisement

এ বার তাই ওই ‘কোড নম্বর’ লেখার বিষয়ে জোর দিচ্ছে স্বাস্থ্য দফতর। সেই লক্ষ্যে বৃহস্পতিবার রাজ্যের সমস্ত জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক, হাসপাতালের সুপার এবং নোডাল অফিসারদের সঙ্গে বৈঠক করেন স্বাস্থ্যকর্তারা। ছিলেন স্বাস্থ্য অধিকর্তা সিদ্ধার্থ নিয়োগী। শংসাপত্রে মৃত্যুর কারণের সঙ্গে ‘কোড নম্বর’ কী ভাবে উল্লেখ করতে হবে এবং কেন তা জরুরি, তা ওই বৈঠকে জানানো হয়। এক কর্তার কথায়, ‘‘আন্দাজে কোড-নম্বর নথিভুক্ত করে দেওয়ার ফলে কী কারণে মৃত্যু বেশি হচ্ছে, তার সামাজিক প্রভাব কতটা, কোনও কিছুরই যথাযথ তথ্য বা পরিসংখ্যান পাওয়া সম্ভব হচ্ছে না।’’

কোনও ব্যক্তির মৃত্যুর পরে, কারণ উল্লেখ করে ‘মেডিক্যাল সার্টিফিকেশন অব কজ় অব ডেথ’ (এমসিসিডি) লিখতে হয় চিকিৎসককে। সেখানে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ‘ইন্টারন্যাশনাল ক্লাসিফিকেশন অব ডিজ়িজ়েস’ (আইসিডি) অনুযায়ী মৃত্যুর কারণকে নির্দিষ্ট কোড নম্বরে লেখার কথা। জানা যাচ্ছে, আইসিডি-র ১১টি অধ্যায় রয়েছে। তার অধীনে ১৪০০-এরও বেশি কোড নম্বর রয়েছে। যা জন্ম-মৃত্যু পোর্টাল এবং অন্যত্র পাওয়া যায়। স্বাস্থ্যকর্তারা জানাচ্ছেন, ধরা যাক কেউ হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন। এ বার তাঁর কী কী কোমর্বিডিটি ছিল, তা দেখতে হবে। সেই মতো কোড-ও রয়েছে। ওই ব্যক্তির মৃত্যু বাড়িতে কিংবা হাসপাতালে হল কি না, সেটাও বোঝা যাবে ওই নির্দিষ্ট কোড নম্বর দেখেই।

Advertisement

কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, হাসপাতালে বা বাড়িতে যে চিকিৎসক ডেথ সার্টিফিকেট লিখছেন, তাঁকে কী তবে কোডগুলি মুখস্থ করে রাখতে হবে? এক স্বাস্থ্যকর্তার কথায়, ‘‘বিষয়টি তেমন নয়। প্রথমত অনলাইনেই সবটা পাওয়া যাবে। তা ছাড়াও হাসপাতালে কোডগুলির তালিকা দেওয়া থাকতে পারে। আর কোন রোগে কী কোড, সেটা মনে রাখলেই হবে। সেটা পেয়ে গেলেই তার ভাগগুলিও বোঝা যাবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement