—ফাইল চিত্র।
স্বাস্থ্য ভবনের আধিকারিক নিগৃহীত হলে গ্রেফতার হন অভিযুক্ত চিকিৎসক। নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ফার্মাসিস্ট নিগ্রহের পাঁচ দিন পরেও অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হল না? শনিবার নিগ্রহের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ প্রকাশ্যে আসার পরে সরব ফার্মাসিস্টদের যৌথ মঞ্চ।
গত মঙ্গলবার প্রেসক্রিপশন ছাড়া ওষুধ দিতে না-চাওয়ায় সার্জারির দ্বিতীয় বর্ষের এক পিজিটি-র বিরুদ্ধে বহির্বিভাগের ফার্মাসি কাউন্টারের কর্মী জয়দেব কুন্ডুকে মারধরের অভিযোগ ওঠে। এ দিন ফুটেজে দেখা যায়, জয়দেবের কলার ধরে তাঁকে মারতে মারতে নিয়ে যাচ্ছেন অভিযুক্ত জুনিয়র চিকিৎসক। ফার্মাসিস্টদের যৌথ মঞ্চের তরফে সমীর মান্না জানান, এর পরেও এনআরএসের অধ্যক্ষ, সুপার বৈঠক করে বিষয়টি মিটিয়ে নেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন। যা পত্রপাঠ খারিজ করে পাল্টা তিনটি শর্তপূরণের কথা বলা হয়েছে। সেগুলি হল, অভিযুক্তকে এক রাত পুলিশি হেফাজতে থাকতে হবে। এক বছর তাঁকে ক্লাস করতে দেওয়া যাবে না। চিকিৎসক, ফার্মাসিস্টদের উপস্থিতিতে অভিযুক্তকে ক্ষমা চাইতে হবে।
যৌথ মঞ্চের আর এক মুখপাত্র অরূপ পাস্তা বলেন, ‘‘আধিকারিকের গায়ে হাত উঠলে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এ ক্ষেত্রে পৃথক নিয়ম কেন!’’
নিগ্রহের প্রশ্নে এনআরএস-এ আন্দোলন করেছিলেন জুনিয়র চিকিৎসকেরা। অথচ তাঁদেরই যৌথ মঞ্চ কেন বিবৃতিহীন, সেই প্রশ্নও জোরালো হয়েছে। সেই মঞ্চের সদস্য অর্চিস্মান ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘ব্যক্তিগত ভাবে বলতে পারি যে কোনও ধরনের হিংসা বরদাস্ত করা উচিত নয়।’’
স্বাস্থ্য-শিক্ষা অধিকর্তা দেবাশিস ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘ইতিমধ্যে দুই সদস্যের তদন্ত কমিটি গড়া হয়েছে। কমিটি রিপোর্ট জমা দিলে পদক্ষেপ করা হবে।’’