আসন খালি রাখার নির্দেশ হাইকোর্টের

কৌশিয়ার আইনজীবী অপলক বসু এ দিন শুনানিতে জানান, এসএসকেএমের মেডিক্যাল বোর্ডের শংসাপত্রে লোকোমোটর ডিজ়এবিলিটি হিসেবে র‌্যাডিকিউলোপ্যাথির উল্লেখই নেই।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৬ জুলাই ২০১৯ ০১:০৯
Share:

ছবি: সংগৃহীত।

ডাক্তারি পড়তে ইচ্ছুক প্রতিবন্ধী ছাত্রীর শংসাপত্র বিতর্কে হস্তক্ষেপ করল কলকাতা হাইকোর্ট। মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত শারীরিক ভাবে প্রতিবন্ধী এবং তফসিলি জাতির আওতায় একটি আসন খালি রাখার জন্য বৃহস্পতিবার অন্তর্বর্তী নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী। মেডিক্যাল কাউন্সিল অব ইন্ডিয়া এবং রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরকে ওই নির্দেশ দিয়েছে আদালত। ছাত্রীর আইনজীবী জানান, ওই ছাত্রী শারীরিক ভাবে কতটা প্রতিবন্ধী তা আগামী মঙ্গলবার পুনরায় মূল্যায়নের জন্য এসএসকেএমের মেডিক্যাল বোর্ডকে বলেছে আদালত।

Advertisement

‘ল্যাম্বার র‌্যাডিকিউলোপ্যাথি’ রোগে আক্রান্ত কৌশিয়া বসু এ বছর ডাক্তারির প্রবেশিকা পরীক্ষায় শারীরিক ভাবে প্রতিবন্ধী ও তফসিলি জাতির অন্তর্গত আবেদনকারী হিসাবে চূড়ান্ত মেধা তালিকায় ১১২০ র‌্যাঙ্ক পান। আর জি কর হাসপাতালের মেডিক্যাল বোর্ড কৌশিয়াকে ষাট শতাংশ প্রতিবন্ধী হিসাবে শংসাপত্র দিয়েছিল। কিন্তু ডাক্তারি পড়তে ইচ্ছুক পড়ুয়াদের শংসাপত্র যাচাইয়ে মেডিক্যাল কাউন্সিল অব ইন্ডিয়া মনোনীত এসএসকেএমের মেডিক্যাল বোর্ড তা মানতে চায়নি। এই পরিস্থিতিতে সমাজকল্যাণ দফতর, জাতীয় তফসিলি জাতি কমিশনের দ্বারস্থ হয়েও ছাত্রী সুরাহা পাননি। শেষমেশ নিজের অধিকার নিশ্চিত করতে আদালতের দ্বারস্থ হন তিনি।

কৌশিয়ার আইনজীবী অপলক বসু এ দিন শুনানিতে জানান, এসএসকেএমের মেডিক্যাল বোর্ডের শংসাপত্রে লোকোমোটর ডিজ়এবিলিটি হিসেবে র‌্যাডিকিউলোপ্যাথির উল্লেখই নেই। অঙ্গহানি, পলিয়োমাইলিটিসের পরে ‘অন্যান্য’ বলে যে শব্দবন্ধ থাকার কথা তা-ও নেই। এসএসকেএমের শংসাপত্র ‘রাইট টু পার্সন উইথ ডিজ়এবিলিটি’ আইন অনুযায়ী ত্রুটিপূর্ণ কি না, সেই প্রশ্ন উঠে যায়। মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ৭ অগস্ট।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement