রাজ্যকে কঠোর পদক্ষেপের নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। —প্রতীকী চিত্র।
নিউ টাউন থানার আইসি-র ভূমিকা নিয়ে আগেই প্রশ্ন তুলেছিল আদালত। এ বার তাঁর বিরুদ্ধে রাজ্যকে কঠোর পদক্ষেপের নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। একটি জমি বিবাদের ঘটনায় নিউ টাউন থানার পুলিশের বিরুদ্ধে একাধিক গুরুতর অভিযোগ নিয়ে মামলা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার সেই মামলার শুনানিতেই রাজ্যের কৌঁসুলিকে বিচারপতি বলেন, ‘‘এই অফিসারের অতীত এবং আগের পাঁচটি পোস্টিং খতিয়ে দেখুন। ইনি আইসি থাকার সময়েই বাগুইআটিতে দুই কিশোরের অপহরণ এবং খুন হয়েছিল। থানা থেকে বাজেয়াপ্ত করা গাড়ি চুরি হয়েছিল। হয় আপনারা (রাজ্য) পদক্ষেপ করবেন, অথবা আমি করব। প্রয়োজনে উর্দি কেড়ে নেব।’’
নিউ টাউন থানার আইসি-র কার্যকলাপে ক্ষুব্ধ বিচারপতি এ দিন এ-ও বলেন, ‘‘কোনও অফিসারের উপরে আমার ব্যক্তিগত কোনও রোষ নেই। কিন্তু এক জন আইসি সরকারি কৌঁসুলির উপরে মেজাজ দেখাচ্ছেন। এক জন আইসি-র এত ক্ষমতা! আমি দেখতে চাই, এত সাহস উনি কোথা থেকে পান?’’ এ দিন রাজ্য সরকার একটি রিপোর্ট পেশ করে জানায় যে, নিউ টাউন থানার আইসি কল্লোল ঘোষকে সতর্ক করা হয়েছে এবং তাঁর সার্ভিস বুক দাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এই ‘সামান্য’ পদক্ষেপে বিচারপতি যে সন্তুষ্ট নন, তা-ও বুঝিয়ে দেন তিনি। রাজ্য কী পদক্ষেপ করেছে, তা ১০ জানুয়ারি পরবর্তী শুনানির দিন কোর্টকে জানাতে হবে।
এ দিন মামলাকারীর আইনজীবী অভিযোগ করেন যে, আইসি এখনও জমি দখলকারীকে আড়াল করছেন। যদিও ‘অভিযুক্ত’ জমি দখলকারীর আইনজীবী জানান যে, তাঁর মক্কেল এক জন চা বিক্রেতা। সব পক্ষের বক্তব্য শোনার পরে বিচারপতি জানান যে, ওই আইসি-র হাতে থানা কেমন চলছে, তা রাজ্যকে খতিয়ে দেখতে হবে। মামলাকারী তদন্তে সব রকম সহযোগিতা করবেন। ১০ জানুয়ারি বিধাননগর কমিশনারেট নতুন একটি রিপোর্ট পেশ করবে।