সরে যেতে বলায় ক্ষুব্ধ হকারেরা, প্রতিবাদে বন্ধ দোকান

বিধায়ক সুজিত বসু দাবি করেছেন, এটি উচ্ছেদ নয়। শুধুমাত্র পথ-নিরাপত্তার কথা ভেবে কয়েকটি রাস্তা থেকে হকারদের পাঁচ নম্বর সেক্টরেই অন্যত্র সরতে বলা হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৮ জুলাই ২০১৮ ০২:১৭
Share:

দোকান বন্ধ রেখে ক্ষোভ হকারদের। শুক্রবার, সেক্টর ফাইভে। নিজস্ব চিত্র

তাঁরা যাতে রাস্তা ও ফুটপাত থেকে দোকান সরিয়ে নেন, সে জন্য আগেই মাইকে প্রচার করেছিল প্রশাসন। কিন্তু কেন তাঁদের সরে যেতে বলা হয়েছে, এই প্রশ্ন তুলে শুক্রবার সকাল থেকে দোকান বন্ধ করে রাখলেন তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পতালুকের হকারদের একাংশ। দুর্ভোগে পড়লেন তথ্যপ্রযুক্তি কর্মীরা। হকারদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে তাঁরা ব্যবসা করছেন। পুনর্বাসন না দিয়ে উচ্ছেদ করা যাবে না। যদিও এলাকার বিধায়ক সুজিত বসু দাবি করেছেন, এটি উচ্ছেদ নয়। শুধুমাত্র পথ-নিরাপত্তার কথা ভেবে কয়েকটি রাস্তা থেকে হকারদের পাঁচ নম্বর সেক্টরেই অন্যত্র সরতে বলা হয়েছে।

Advertisement

এ দিন সকাল থেকে পাঁচ নম্বর সেক্টরে হকারদের একাংশ দোকান বন্ধ রেখে বিক্ষোভ দেখান। যদিও নবদিগন্ত সূত্রের খবর, মাত্র তিনটি রাস্তার কিছু অংশ থেকে হকারদের সরে যেতে বলা হয়েছে। তথ্যপ্রযুক্তি কর্মীরা এ দিন অভিযোগ করেছেন, একাধিক দোকান বন্ধ থাকায় তাঁরা একটি সংস্থা থেকে খাবার অর্ডার দিয়েছিলেন। কিন্তু কলেজ মোড় এবং ওয়েবেলের কাছে খাবার সরবরাহকারীদের বাধা দেন হকারেরা। বাধ্য হয়ে অন্য রাস্তায় গিয়ে তাঁদের খাবার কিনতে হয়েছে। যদিও হকারেরা ওই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

বিধায়ক জানান, ফুটপাতে দোকান থাকায় পথচারীরা সেখান দিয়ে হাঁটতে পারছেন না। আবার কিছু দোকান রাস্তায় থাকায় দুর্ঘটনার আশঙ্কাও তৈরি হচ্ছে। সে কারণেই মাত্র তিনটি রাস্তার একাংশ থেকে হকারদের শিল্পতালুকের অন্যত্র সরে যেতে বলা হয়েছে। সেই জায়গাটিও তাঁদের দেখানো হয়েছে। পাশাপাশি, হকারদের জন্য স্থায়ী ভাবে একটি জায়গা তৈরির কাজ চলছে। এখানে উচ্ছেদের কোনও প্রশ্ন নেই। যদিও বিক্ষুব্ধ হকারদের একাংশ জানিয়ে দিয়েছেন, দাবি না মেনে উচ্ছেদ করা হলে প্রয়োজনে তাঁরা আদালতেরও দ্বারস্থ হতে পারেন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement