বাধা: মন্দিরের কাছে এই বাজারই কালীঘাটে স্কাইওয়াক তৈরির পথে অন্তরায়। ফাইল চিত্র ফাইল ছবি
কালীঘাটে স্কাইওয়াক তৈরির কাজ দ্রুত শুরু করতে চায় কলকাতা পুরসভা। কিন্তু সেই উড়ালপথ নির্মাণে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে কালীঘাট মেট্রো স্টেশন সংলগ্ন বাজার। ওই বাজারের ব্যবসায়ীরা যাতে পুনর্বাসন কেন্দ্রে সরে যান, সে বিষয়ে তাঁদের নিয়ে বুধবার পুর ভবনে বৈঠক করলেন পুর প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান ফিরহাদ হাকিম। উপস্থিত ছিলেন পুর কমিশনার বিনোদ কুমার-সহ পদস্থ আধিকারিক এবং প্রশাসকমণ্ডলীর অন্য সদস্যেরা।
কালীঘাট ট্রাম ডিপোর উল্টো দিকের রাস্তা ধরে মন্দিরের পথে যেতে রয়েছে ‘রেফিউজি হকার্স মার্কেট’ নামে ওই বাজারটি। সেখানে ব্যবসায়ী রয়েছেন ১৭৫ জন। তাঁদের পুনর্বাসনের জন্য পাশেই হাজরা পার্কের একটি অংশে স্টল তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। ওখানে যাতে হকারেরা চলে যান, সেই বিষয়েই এ দিন পুরসভার তরফে হকার কমিটির প্রতিনিধির কাছে আবেদন জানানো হয়।
কিন্তু পুরসভা সূত্রের খবর, হকারদের একাংশ পুনর্বাসন কেন্দ্রে যেতে রাজি হচ্ছেন না। তাঁদের যুক্তি, ওই বাজারে কোনও কোনও দোকানের একাধিক শরিক আছেন। কিন্তু নিয়ম অনুযায়ী পুনর্বাসন কেন্দ্রে দোকান মিলবে একটিই। ফলে সেই শরিকিয়ানা নিয়ে দ্বন্দ্বে কার্যত দু’ভাগ হয়ে গিয়েছেন হকারেরা। যার জন্য এ দিনের বৈঠকে তাঁরা কোনও সমাধানে আসতে পারেননি। সে কারণে হকারেরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, কাল শুক্রবার তাঁরা নিজেদের মধ্যে আবার বৈঠক করে সেই সিদ্ধান্ত পুরসভাকে জানাবেন।
এক পুর আধিকারিক বলেন, ‘‘বর্তমান বাজারটি ভেঙে সেখানে বহুতল বাজার বানানোর পরিকল্পনা রয়েছে। নতুন বাজার তৈরির কাজ শেষ হলে হকারদের সেখানে আবার ফিরিয়ে আনা হবে। পাশাপাশি, ওই নতুন ভবনের একাংশ স্কাইওয়াকের পরিকাঠামোগত কাজে ব্যবহৃত হবে।’’ পুরসভার প্রাক্তন মেয়র পারিষদ তথা প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য দেবাশিস কুমার বলেন, ‘‘হাজরা পার্কের নির্দিষ্ট জায়গায় যাতে হকারেরা চলে যান, সে বিষয়ে তাঁদের জানানো হয়েছে। ওঁরা সরে গেলে তবেই স্কাইওয়াকের কাজ শুরু করা যাবে।’’ হকার কমিটির তরফে অমরেশচন্দ্র পাল বলেন, ‘‘বুধবারের বৈঠকে অনেক হকার উপস্থিত ছিলেন না। যার জন্য আমরা শুক্রবার ফের বৈঠকে বসব। সেই সিদ্ধান্ত পুরসভাকে জানানো হবে।’’