সৌন্দর্যায়নে প্রধান বাধা হকার, টের পাচ্ছে প্রশাসন

মেয়র শোভনবাবু জানান, সব কিছু নিয়ে এ দিন আলোচনা হয়েছে। এখন নকশা-সহ সৌন্দর্যায়নের রূপরেখা সবই পাঠানো হবে রাজ্য সরকারের কাছে। তার পর যে নির্দেশ আসবে সেই মতো কাজ হবে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৭ নভেম্বর ২০১৭ ০২:২৫
Share:

দক্ষিণেশ্বরের মতো কালীঘাট মন্দির চত্বর এবং দুধপুকুরেরও সৌন্দর্যায়ন হবে বলে খবর প্রশাসনিক সূত্রে।

Advertisement

মন্দির কর্তৃপক্ষ, পর্যটন দফতর এবং পুর প্রশাসনের পদস্থ আধিকারিকদের নবান্নে ডেকে এ বিষয়ে মাস কয়েক আগে বৈঠকও করেন মুখ্যমন্ত্রী। কেমন হবে সেই কাজ, তার নকশা তৈরি করতেও নির্দেশ দিয়েছিলেন। বলে দিয়েছিলেন জুলাইয়ের (গত) মধ্যে কাজ শুরু করতে। কিন্তু এখনও সৌন্দর্যায়নের সেই কাজ শুরু করা সম্ভব হয়নি। এর প্রধান বাধা যে মন্দিরের আশপাশে বসে থাকা ব্যবসায়ী, হকার তা বিলক্ষণ বুঝছে প্রশাসন ও পুলিশ। কারণ মন্দির চত্বর জুড়ে থাকা হকার, দোকানদারকে কোথায় ঠাঁই দেওয়া হবে তা ভেবে উঠতে পারেনি তারা। আসলে হকার নীতি নিয়ে সরকার যথেষ্ট সচেতন বলে কেউ আগ বাড়িয়ে কিছু করতেও নারাজ। এ নিয়ে বৃহস্পতিবার ফের বৈঠক হয় পুরভবনে।

এ দিকে, ওই কাজে নিযুক্ত কনসালট্যান্ট ইতিমধ্যেই একাধিক নকশা বানিয়েছেন। তা দেখানোও হয়েছে সংশ্লিষ্ট কতৃর্পক্ষকে। এ দিনের বৈঠকেও তা ফের দেখানো হয়েছে। কিন্তু তা সম্পন্ন করতে হলে স্থানীয় দোকানদার, হকারদের সরানোর প্রক্রিয়া অবিলম্বে শুরু করতে হবে। সেই কাজ করার আগে তাই নবান্নের মনোভাব বুঝে নিতে চায় প্রশাসন ও পুলিশ। পুরসভা সূত্রের খবর, দেড়শোরও বেশি দোকান রয়েছে ওই এলাকায়। ওই এলাকাতেই পুরসভার একটা বড় বিল্ডিং পড়ে রয়েছে। তার বেশির ভাগটাই খালি। সৌন্দর্যায়নের কাজ চলাকালীন ওই সব হকার, দোকানদারকে ওই বিল্ডিংয়ে সরানোর কথা ভাবা হয়েছে এ দিনের বৈঠকে। সেখানে হাজির ছিলেন দক্ষিণ কলকাতার সাংসদ সুব্রত বক্সী, এলাকার বিধায়ক তথা মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়, কালীঘাট মন্দির কমিটির পদাধিকারী এবং পুলিশের পদস্থ কর্তারা। একই সঙ্গে দুধপুকুরের আশপাশ জুড়ে যে সব হকার রয়েছেন তাঁদেরকেও অস্থায়ী ভাবে কোথায় জায়গা দেওয়া হবে তার ভাবনাও রয়েছে কনসালট্যান্টের নকশায়। সব দিক থেকে ঢোকার জন্য প্রবেশদ্বারও রাখা হয়েছে নকশায়।

Advertisement

পুরসভা সূত্রের খবর, আগামী ২৭ নভেম্বর মন্দির কমিটির সঙ্গে এ নিয়ে আলোচনায় বসবেন ওই কাজে নিযুক্ত কনসালট্যান্ট। নকশা অনুযায়ী কাজ করতে মন্দির কমিটির পরামর্শ এবং সম্মতি দরকার। আর স্থানীয় হকার, দোকানদার বিষয়েও সুষ্ঠু নীতি নিতে হবে। মেয়র শোভনবাবু জানান, সব কিছু নিয়ে এ দিন আলোচনা হয়েছে। এখন নকশা-সহ সৌন্দর্যায়নের রূপরেখা সবই পাঠানো হবে রাজ্য সরকারের কাছে। তার পর যে নির্দেশ আসবে সেই মতো কাজ হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement