এ বার হাঁসখাসলি নিয়ে কমিশনে যাচ্ছে বিজেপি। ফাইল চিত্র।
এর আগে ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগ নিয়ে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছিল বিজেপি। পরে ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাই কোর্ট। এ বার হাঁসখালি গণধর্ষণ-কাণ্ডে আগেই সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। তবে তার পরেও বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নড্ডার নির্দেশে মানবাধিকার কমিশনে যাচ্ছে দলের সত্যানুসন্ধান কমিটি। বিজেপি সূত্রে খবর, আগামী সোমবার দুপুরে কমিশনে যাচ্ছেন তামিলনাড়ুর বিধায়ক তথা মহিলা মোর্চার সর্বভারতীয় সভানেত্রী বনথি শ্রীনিবাসন এবং এ রাজ্যের ইংরেজবাজারের বিধায়ক শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরী।
বীরভূমের বগটুই-কাণ্ডের পর নদিয়ার হাঁসখালি-কাণ্ডেও সত্যানুসন্ধান কমিটি গড়েছিলেন নড্ডা। বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ছিলেন ওই কমিটিতে। নড্ডার পাশাপাশি সুকান্ত কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কাছে রিপোর্ট জমা দেন। পরে হাঁসখালির ঘটনা সামনে আসতেই উত্তরপ্রদেশের সাংসদ রেখা বর্মা, যোগী রাজ্যের মন্ত্রী বেবিরানি মৌর্য, তামিলনাড়ুর বিধায়ক তথা মহিলা মোর্চার সর্বভারতীয় সভানেত্রী বনথি, মহারাষ্ট্র বিজেপির নেত্রী খুশবু সুন্দর এবং রাজ্যের ইংরেজবাজারের বিধায়ক শ্রীরূপাকে নিয়ে একটি কমিটি গঠন করেন। সেই কমিটি হাঁসখালি পরিদর্শন করেছে। তার পর গত বুধবার নড্ডার কাছে রিপোর্ট জমা করে তারা। বিজেপি সূত্রে খবর, সেই রিপোর্ট খতিয়ে দেখে নড্ডার মনে হয়েছে, এ নিয়ে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনে যাওয়া উচিত। শ্রীরূপা জানান, সোমবার দুপুর আড়াইটে নাগাদ তাঁরা কমিশনে যাচ্ছেন। তবে কী কী বিষয় সেখানে তুলে ধরবেন তা নিয়ে বিশেষ কিছু বলতে চাননি তিনি।
তবে হাঁসখালির ঘটনার বিবরণ দিয়ে নড্ডার কাছে রিপোর্টে বাংলায় ৩৫৬ ধারা জারির পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলে সুপারিশ করেছিল এই সত্যানুসন্ধান কমিটি। তা ছাড়া নির্যাতিতার পরিবার থেকে স্থানীয় বাসিন্দারা অসহায় অবস্থায় নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলেও রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। হাঁসখালির নির্যাতিতাকে শ্মশানে দাহ করার ব্যাপারেও অনিয়ম হয়েছে বলে রিপোর্টে দাবি করা হয়।
অন্য দিকে, সম্প্রতি কলকাতা হাই কোর্ট নির্দেশ দেয়, হাঁসখালির নির্যাতিতার পরিবারের নিরাপত্তার দায়িত্ব নিতে হবে রাজ্যকেই। যার প্রেক্ষিতে শুক্রবার রাজ্য সরকারের মেডিক্যাল টিম নির্যাতিতার পরিবারের সদস্যদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেছেন। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বগুলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক-সহ মেডিক্যাল দল। ওই পরিবারের সদস্যদের বর্তমান মানসিক অবস্থার কথা জানতে চান তাঁরা।