জয়ন্তী কর্মকার
রান্নাঘরের ফ্যান থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় এক গৃহবধূর দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। সোমবার সকালে, পর্ণশ্রী থানার নেতাজি সুভাষ রোডের ঘটনা। মৃতার নাম জয়ন্তী কর্মকার (৪৭)। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানিয়েছে, ওই মহিলা বেশ কয়েক মাস ধরেই মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। পুলিশের অনুমান, তা থেকেই সম্ভবত আত্মঘাতী হয়েছেন তিনি।
পুলিশ জানায়, সোমবার সকালে পর্ণশ্রী থানায় খবর আসে ১৭৯/৯ নেতাজি সুভাষ রোডের ভাড়াটে রতন কর্মকারের স্ত্রী জয়ন্তীদেবীকে রান্নাঘরের ফ্যান থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। জয়ন্তীদেবীর পরিবার জানিয়েছে, তাঁর নানা অসুখ ছিল। গত এক বছরের মধ্যে জয়ন্তীদেবীর বাবা ও ভাই মারা গিয়েছেন। এর পর থেকে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন জয়ন্তীদেবী। বিশেষ করে এক মাত্র ভাই মারা যাওয়ার পরে সেই অবসাদ বেড়ে গিয়েছিল। চিকিৎসাও চলছিল। শনিবার, ভাইফোঁটার দিন থেকে চুপচাপ হয়ে যান জয়ন্তীদেবী। রবিবার রাতে খাবারও খাননি। জয়ন্তীদেবীর স্বামী রতনবাবু জানিয়েছেন, রাতে না খেলেও মাঝ রাতে জয়ন্তীদেবী খিদে পেয়েছে জানিয়ে রান্নাঘরে চলে যান।
এর পর সকালে রতনবাবু দেখেন স্ত্রী বিছানায় নেই। খুঁজতে খুঁজতে রান্নাঘরে গিয়ে দেখেন দরজা ভেজানো। দরজা ঠেলতেই দেখেন স্ত্রী ঘরের ফ্যান থেকে শাড়ির ফাঁস লাগানো অবস্থায় ঝুলছেন। সঙ্গে সঙ্গে ছেলেকে ডাকেন এবং খবর দেন থানায়। পুলিশ জয়ন্তীদেবীকে বিদ্যাসাগর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। জয়ন্তীদেবীর বছর ২০-র এক ছেলে রয়েছে।