প্রতীকী ছবি।
হস্টেলের ঘরে ঝুলন্ত দেহ মিলল এক চিকিৎসক পড়ুয়ার। পুলিশ জানায়, মৃতের নাম দিব্যেন্দু সর্দার (২৫)। দক্ষিণ ২৪ পরগনার গোসাবার ওই যুবক ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পঞ্চম বর্ষের পড়ুয়া ছিলেন।
পুলিশ জানিয়েছে, কৃষক পরিবারের ছেলে দিব্যেন্দু মঙ্গলবার হস্টেলের ঘর পাল্টান। নতুন ঘরের সহপাঠী আবাসিক বাড়ি যাওয়ায় পুরনো ঘরের এক সহপাঠী তাঁকে ডেকে নেন। বুধবার ভোরে নিজের ঘরে চলে যান দিব্যেন্দু। ঘুম ভেঙে হস্টেলের ১৩এ নম্বর ঘরের সেই আবাসিক গোপাল রায় দিব্যেন্দুর খোঁজ করেন। পরে দিব্যেন্দুর ঘর ৯এ থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। পুলিশ হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়। তদন্তে অনুমান, এটি আত্মহত্যা।
কয়েক দিন আগেই ছিল ‘ওয়ার্ল্ড সুইসাইড প্রিভেনশন ডে’। লকডাউনের সময় থেকেই শহরে একাধিক আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। তদন্তে দেখা গিয়েছে, আত্মহত্যার অধিকাংশ ঘটনার পিছনে রয়েছে অবসাদজনিত কারণ। কিছু দিন আগে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের নার্সিং কলেজের এক ছাত্রী আত্মঘাতী হন।
দিব্যেন্দুর মামা দিবাকর মিস্ত্রি বলেন, ‘‘লকডাউনে বেশির ভাগ দিনই ও সোনারপুরে আমার বাড়িতে থাকত। আমার মা মাসখানেক আগে অসুস্থ হয়ে ন্যাশনাল মেডিক্যালে ভর্তি হলে দিদিমার দেখাশোনা করতে কিছু দিন ও হস্টেলে ছিল।’’ পুলিশ জানায়, বছর কয়েক আগে এক তরুণীর সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল দিব্যেন্দুর। বাড়ির আপত্তিতে সেই সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ায় অবসাদে ভুগছিলেন ওই ছাত্র। তাঁর সহপাঠীরা জানান, তিনি অবসাদের ওষুধ খেতেন। সম্প্রতি সেই ওষুধ বন্ধ করে দেন। এই ঘটনায় বুধবার পর্যন্ত কোনও অভিযোগ জমা পড়েনি। পুলিশ অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে। দিব্যেন্দুর গ্রাম সূত্রের খবর, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকে ৯০ শতাংশের বেশি নম্বর পেয়েছিলেন তিনি। প্রতিবেশী কল্যাণ মাইতি, দেবাশিস মুখোপাধ্যায়রা বলেন, “কোনও দিন স্কুলে প্রথম ছাড়া দ্বিতীয় হয়নি। আশা ছিল, বড় ডাক্তার হয়ে গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করবে দিব্যেন্দু।’’