প্রতীকী ছবি।
ক্যানসারে আক্রান্ত ছিলেনই। সম্প্রতি করোনাতেও আক্রান্ত হয়েছিলেন যুবকটি। ভর্তি ছিলেন নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপের বাসিন্দা ওই যুবকের ঝুলন্ত দেহ রবিবার সকালে উদ্ধার হয় হাসপাতালের শৌচাগার থেকে। প্রাথমিক ভাবে ঘটনাটি আত্মহত্যার বলেই মনে করছে পুলিশ। ঘটনার পরে প্রশ্ন উঠেছে হাসপাতালে থাকা রোগীর উপরে নজরদারি নিয়েও।
পুলিশ জানিয়েছে, মৃত যুবক ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে দীর্ঘদিন ধরে এনআরএসে ভর্তি ছিলেন। গত বুধবার তাঁর করোনা ধরা পড়ে। সে দিন থেকে তিনি ওই হাসপাতালের কোভিড ওয়ার্ডেই ভর্তি ছিলেন। পুলিশ জানিয়েছে, এ দিন সকাল ১০টা নাগাদ ওই রোগী শৌচাগারে যান। দীর্ঘক্ষণ না বেরোনোয় অন্যান্য রোগীরা কর্তব্যরত চিকিৎসককে জানান। পরে চিকিৎসক হাসপাতালের কর্মীদের ডেকে পাঠান। তাঁরা গিয়ে শৌচাগারের দরজা ভাঙলে ভিতরের বিম থেকে গামছার সঙ্গে ওই যুবককে ঝুলতে দেখা যায়।
পরে হাসপাতালের ফাঁড়ির পুলিশকে ডেকে পাঠানো হয়। ওই যুবককে চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করেন। ওই ঘটনার পরে হাসপাতালের কোভিড ওয়ার্ডে আতঙ্ক ছড়ায়।
প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশের ধারণা, মানসিক অবসাদের কারণে ওই যুবক আত্মঘাতী হন। নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, মৃত যুবক মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। তাঁর পরিজনেরা তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন না। এমনকি হাসপাতালের তরফে ভিডিয়ো কলের ব্যবস্থা করা হলেও যুবকের ফোন ধরতেন না তাঁর পরিজনেরা।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, শৌচাগারে সিসি ক্যামেরা লাগানো হয় না। ফলে শৌচাগারের ভিতরে রোগী কী করছেন সে দিকে নজর রাখা সম্ভব নয়।