বেল্ট দিয়ে হাত বাঁধা এক প্রৌঢ়ের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল। রবিবার সকালে, হাওড়ার রামমোহন লেনের একটি বাড়িতে।
পুলিশ জানায়, বছর পঞ্চাশের অমর রায় একটি রং-কারখানায় কাজ করতেন। বছরখানেক আগে চাকরি যায়। কী ভাবে তাঁর মৃত্যু হল, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, এ দিন সকালে কাগজবিক্রেতা এসে দেখেন, সদর দরজা ভেজানো। দরজা ঠেলতেই নজরে পড়ে অমরবাবুর হাতবাঁধা ঝুলন্ত দেহ। কাগজ বিক্রেতাই পড়শিদের খবর দেন। খবর যায় স্থানীয় থানায়। ঘটনার কথা জানাজানি হতে এলাকায় আতঙ্ক ছড়ায়। পুলিশ গিয়ে দেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তে পাঠায়।
স্থানীয় সূত্রে খবর, স্ত্রীর সঙ্গে মনোমালিন্য হওয়ায় প্রায় এক বছর ধরে একাই থাকতেন সিপিএমের দলীয় কর্মী অমরবাবু। প্রতিবেশীরা জানাচ্ছেন, একই পাড়ায় থাকেন তাঁর ভাই নির্বাণ রায়। নির্বাণ জানান, দাদা বিষণ্ণ থাকতেন। তবে আত্মহত্যা করতে পারেন, এমন আঁচ তিনি পাননি।
অমরবাবুর প্রতিবেশী শঙ্কর মুখোপাধ্যায়ও বলেন, ‘‘অমরবাবুর সঙ্গে কারও কোনও ঝামেলা ছিল না বলেই জানি। দলের কাজকর্ম নিয়েই থাকতেন। এটা আত্মহত্যা মনে হয় না। ঠিক পথে তদন্ত করলে সত্য বেরিয়ে আসবে।’’
স্থানীয় বাসিন্দাদের প্রশ্ন, কেউ আত্মঘাতী হতে চাইলে হাত বেঁধে ঝুলবেন কী করে? পুলিশের একাংশও একই প্রশ্ন তুলেছেন। প্রাথমিক ভাবে একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এ দিকে, মৃতের গলায় বেশ কিছু আঁচড়ের দাগও মিলেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। ময়না তদন্তের রিপোর্ট দেখে প্রয়োজনে খুনের মামলা করা হবে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। অমরবাবুর স্ত্রী এবং শ্বশুরবাড়ির লোকজনের সঙ্গেও কথা বলবে পুলিশ। অমরবাবুর সঙ্গে কারও সম্পত্তিগত অথবা পারিবারিক বিবাদ আছে কি না তাও খতিয়ে দেখা হবে বলে জানায় পুলিশ।
অন্য দিকে, রবিবার মানিকতলার বাগমারি রোডে একটি বাড়ি থেকে এক যুবকের ঝুলন্ত দেহ মেলে। পুলিশ জানায়, মৃতের নাম পাপ্পু শর্মা (৪০)। বিকেলে পর্ণশ্রীর বি ডি সেনগুপ্ত রোডে এক বহুতল থেকে উদ্ধার হয় শুভ্রা দে (৫২) নামে এক প্রৌঢ়ার পচাগলা দেহ।