ফাইল চিত্র।
বইমেলায় রাজনীতি নিষেধ! বইমেলার মাঠে রাজনীতি করা যাবে না বলে এ বারও অনড় গিল্ডের কর্তারা। কিন্তু সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) এবং জাতীয় নাগরিক পঞ্জি (এনআরসি) নিয়ে প্রতিবাদের আবহে বইমেলার মাঠেও তার আঁচ পড়ার সম্ভাবনা প্রবল।
এ বার বইমেলায় একটি ‘সম্প্রীতি গেট’ তৈরি করা হচ্ছে। সিএএ-র মাধ্যমে ধর্মের ভিত্তিতে বিভাজন সৃষ্টির যে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে, এমন গেট সেখানে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। বইমেলার নানা বৈশিষ্ট্যের মধ্যে এ বার বিদ্যাসাগরের জন্মের দ্বিশতবর্ষ উপলক্ষে একটি বিদ্যাসাগর সংগ্রহশালা থাকবে। এশিয়াটিক সোসাইটির সাহায্যে তা গড়ে উঠেছে বলে জানিয়েছেন গিল্ড-কর্তারা। বইমেলার বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আলোচনাতেও এ দেশের সমকালীন রাজনীতির ছোঁয়াচ এড়ানো যাবে না বলেই মনে করা হচ্ছে।
কলকাতা সাহিত্য উৎসবের অনুষ্ঠানেও সমকালীন রাজনীতি থাকবে নানা ভাবে। উৎসবের অধিকর্তা সুজাতা সেন সোমবার বলেন, ‘‘দেশের নানা প্রান্তের বিশিষ্টজনেদের নিয়ে ‘সিটিজ়েনস্পিক’ নামে একটি প্রতিবাদী নাগরিক মঞ্চের কয়েক জন মুখও থাকবেন আলোচনায়। আশিস নন্দী বলবেন প্রতিবাদের ইতিহাস নিয়ে তাঁর বইটি প্রসঙ্গে। আর অপর্ণা বৈদিকের গণহত্যার (লিঞ্চিং) ইতিহাস নিয়ে প্রকাশিতব্য বইটি নিয়েও আলোচনা হওয়ার কথা।’’ এ নিয়ে গিল্ড-কর্তাদের অবস্থান ‘ধরি মাছ না-ছুঁই পানি’! ‘‘বই নিয়ে আলোচনার সূত্রে রাজনীতি আসুক বা কোনও ব্যক্তি আলাদা ভাবে সংবাদমাধ্যমে যা মনে করছেন বলুন। তার দায় আমাদের নয়।’’— বলছেন তাঁরা।
আজ, বৃহস্পতিবার বইমেলার উদ্বোধনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে থাকবেন রাশিয়ার মন্ত্রী পর্যায়ের পদাধিকারী ভ্লাদিমির গ্রিগোরিয়েভ, দিল্লিতে রুশ রাষ্ট্রদূত কুদাসেভ নিকোলাই রিশাটোভিক প্রমুখ। উদ্বোধনী আসর শুরুর আগেই গিল্ড কর্তারা চান, বেশির ভাগ স্টলে বই পৌঁছনোর কাজ শেষ করতে।