—প্রতীকী ছবি
বেসরকারি স্কুলগুলিকে নিয়ন্ত্রণ করতে রেগুলেটরি কমিটি তৈরি করে আইন প্রণয়নের দাবি জানালেন অভিভাবকেরা। রবিবার দুপুরে রাসবিহারী অ্যাভিনিউয়ের এক প্রেক্ষাগৃহে সম্মেলনের আয়োজন করেন বেসরকারি স্কুলগুলির অভিভাবকদের সংগঠন ‘ইউনাইটেড গার্ডিয়ান্স অ্যাসোসিয়েশন’। সংগঠনের আহ্বায়ক সুপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘এ দিন ১০০টি বেসরকারি স্কুলের প্রতিনিধি হিসেবে দু’জন করে অভিভাবক যোগ দেন। ছ’দফা দাবি নিয়ে শীঘ্রই সই সংগ্রহ অভিযানে নামব।’’
এ দিনের সম্মেলনে কয়েক জন অভিভাবক দাবি তোলেন, অনেক রাজ্যেই বেসরকারি স্কুলের নিয়ন্ত্রণে সরকারি হস্তক্ষেপ থাকে। এ রাজ্যে সে সব নেই বললেই চলে। তাই সরকারি হস্তক্ষেপের দাবি জানাচ্ছেন তাঁরা। তাঁদের মতে, শুধু পরিচালন সমিতি থাকলেই হবে না, অভাব-অভিযোগ স্কুল কর্তৃপক্ষকে জানাতে অভিভাবক-শিক্ষক সংগঠনও তৈরি করতে হবে।
অভিভাবকদের আরও অভিযোগ, অনেক বেসরকারি স্কুলই নির্দিষ্ট জায়গা থেকে বই, খাতা-সহ প্রয়োজনীয় দ্রব্য কিনতে বলে। যেগুলির দাম বাজারে বিক্রি হওয়া ওই সব দ্রব্যের দামের থেকে অনেকটাই বেশি। স্কুলের তরফে এই ধরনের বিক্রি বন্ধ করার দাবি জানানো হয়েছে এ দিন। আগামী বছর কোভিড পরিস্থিতি যেমনই থাক, বেসরকারি স্কুলগুলি ফি বাড়াতে পারবে না, সেই দাবিও এ দিন জোরালো ছিল।
এ দিকে বেসরকারি স্কুল কর্তৃপক্ষের একাংশের অভিযোগ, তাঁরা হাইকোর্টের নির্দেশ মতো ফি পুনর্গঠন করলেও বহু অভিভাবক সেই ফি-ও না দেওয়ায় স্কুল পরিচালনার ক্ষেত্রে অসুবিধা হচ্ছে।
সুপ্রিয়বাবুর অবশ্য দাবি, ‘‘এই অভিযোগ মিথ্যে। কিছু স্কুল হাইকোর্টের নির্দেশ এখনও মানছে না। ফলে কিছু অভিভাবক বুঝতে পারছেন না, কত ফি দিতে হবে।’’