—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
যাত্রী-নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে দু’টি নতুন পুলিশ ফাঁড়ি তৈরি করতে চাইছে রেল পুলিশ (জিআরপি)। সূত্রের খবর, শিয়ালদহ রেল পুলিশ জেলা এলাকায় ওই দু’টি পূর্ণাঙ্গ ফাঁড়ি তৈরি করতে চাইছেন রেলের কর্তারা। নবান্নে পাঠানো এই সংক্রান্ত প্রস্তাবে বলা হয়েছে, শিয়ালদহ রেল পুলিশ থানার অন্তর্গত পার্ক সার্কাস স্টেশনে এবং বালিগঞ্জ রেল পুলিশ থানার অন্তর্গত মাঝেরহাট স্টেশনে ওই পুলিশ ফাঁড়ি তৈরি করা হোক।
রেল পুলিশের এক কর্তা জানাচ্ছেন, যাত্রীর সংখ্যা বৃদ্ধি এবং তাঁদের নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রেখেই এই প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। এরই সঙ্গে যাদবপুর এবং হাবড়া রেল পুলিশ থানাকে ওসির (অফিসার ইন-চার্জ) বদলে আইসি (ইনস্পেক্টর ইন-চার্জ) থানায় উন্নীত করার প্রস্তাবও পাঠানো হয়েছে।
কেন নতুন পুলিশ ফাঁড়ির প্রয়োজন হচ্ছে?
রেল পুলিশ সূত্রের খবর, যাত্রী-সংখ্যার যাতায়াতের দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ পার্ক সার্কাস স্টেশন। ওই স্টেশনে চারটি প্ল্যাটফর্ম রয়েছে। যা নিরাপত্তার দিক থেকে অত্যন্ত সংবেদনশীল। পাশাপাশি, ওই স্টেশন চত্বর থেকে শুরু করে সংলগ্ন বেশ কিছু এলাকা অপরাধপ্রবণ। বর্তমানে শিয়ালদহ রেল পুলিশ থানা থেকে ওই এলাকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা দেখা হয়। রেল পুলিশের একাংশের দাবি, বড় অঘটন ঘটলে দ্রুত শিয়ালদহ থেকে পার্ক সার্কাসে পৌঁছনো অসুবিধাজনক। তাই ওই স্টেশনে পৃথক একটি পুলিশ ফাঁড়ি প্রয়োজন।
আবার বালিগঞ্জ রেল পুলিশ থানার অধীনে থাকা এলাকা বিস্তৃত বজবজ পর্যন্ত। প্রায় ২৫ কিলোমিটার ওই এলাকার ন’টি স্টেশনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা দেখতে হয় বালিগঞ্জ থেকে। সেই কারণে অনেক সময়েই অসুবিধার সম্মুখীন হন রেল পুলিশের কর্মীরা। এই সমস্যা দূর করতেই মাঝেরহাট স্টেশনে নতুন পুলিশ ফাঁড়ি তৈরির প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। পুলিশের একটি সূত্রের দাবি, এর ফলে মাঝেরহাট থেকে শুরু করে আক্রা, সন্তোষপুর, বজবজের মতো স্টেশনের দায়িত্ব থাকবে নতুন ফাঁড়ির উপরে।
রেল পুলিশ জানিয়েছে, কাজের সুবিধা এবং যাত্রীদের স্বার্থে হাবড়া ও যাদবপুরকে আইসি থানায় উন্নীত করার প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। হাবড়া রেল পুলিশের এলাকা বড়। তা ছাড়া, সেখানে নিয়মিত অপরাধমূলক ঘটনা ঘটে। এমন নানা দিক বিবেচনায় রেখেই এই প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।