প্রতীকী ছবি।
সাইবার অপরাধ সংক্রান্ত বেশ কিছু মামলায় বিশেষ সরকারি আইনজীবী বিভাস চট্টোপাধ্যায়কে নিরাপত্তারক্ষী দিল বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেট। বিভাসবাবুর দাবি, গত কয়েক মাস ধরে অচেনা নম্বর থেকে ইন্টারনেট পরিষেবা ব্যবহার করে মাঝেমধ্যেই ‘হুমকি ফোন’ করা হচ্ছিল তাঁকে। গত কয়েক দিনে তিনি বেশ কিছু এমন ফোন পেয়েছেন। তার পরেই বিষয়টি তিনি জানান বিধাননগর পুলিশকে। সোমবার বিভাসবাবুর জন্য নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন করা হয়েছে বলে খবর।
উল্লেখ্য, সাইবার প্রতারণা, আর্থিক প্রতারণা এবং খুনের বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ মামলায় বিশেষ সরকারি আইনজীবী হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে বিভাসবাবুকে। ইতিমধ্যেই একাধিক মামলার বিচার-পর্ব শেষে শাস্তি পেয়েছে অভিযুক্তেরা। ভুয়ো অর্থলগ্নি সংস্থার বিরুদ্ধে প্রতারণার একটি মামলাতেও সরকারি
আইনজীবী বিভাসবাবু। বিধাননগর সাইবার থানার বেশ কয়েকটি মামলাতেও তাঁকে বিশেষ সরকারি আইনজীবী হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টেও রাজ্যের হয়ে একাধিক সাইবার মামলায় সওয়াল করেছেন তিনি। পুলিশ সূত্রের খবর, সল্টলেকে সেক্টর ফাইভে একাধিক কল সেন্টার থেকে প্রতারণার চক্র চলত। তেমন কিছু চক্র গত কয়েক বছরে ধরা পড়েছে। সেই মামলাগুলিতেও বিভাসবাবু ছিলেন বিশেষ সরকারি আইনজীবী।
ওই আইনজীবী জানান, গত কয়েক মাস ধরে তাঁর কাছে অচেনা নম্বর থেকে ফোন আসছিল। প্রথমে তিনি বিষয়টিকে তেমন গুরুত্ব দেননি।
কিন্তু সম্প্রতি তিনি বেশ কয়েকটি হুমকি ফোন পান মোবাইলে। বিভাসবাবুর অনুমান, তাঁকে ফোনগুলি করা হয়েছে কাজ থেকে সরিয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্য নিয়ে। ফোনে যে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে, তা থেকে তিনি শারীরিক ক্ষতির আশঙ্কাও করছেন বলে জানিয়েছেন। বিভাসবাবু বলেন, ‘‘যারা ফোনগুলি করেছে, তাদের কথাবার্তায় বোঝা যায়, তারা আমার বর্তমান কর্মক্ষেত্র এবং কাজ সম্পর্কে ওয়াকিবহাল।’’
বিভাসবাবু আরও জানিয়েছেন, যে ধরনের ইন্টারনেট প্রযুক্তি ব্যবহার করে ওই ফোনগুলি করা হয়েছিল, তাতে সংশ্লিষ্ট ‘কলারদের’ চিহ্নিত করা এবং ফোনের উৎসে পৌঁছনো বেশ কঠিন। ওই আইনজীবীর ধারণা, তাঁর উপরে চাপ তৈরির চেষ্টা চলছে।
কাঁকুড়গাছির কাছে ইএম বাইপাস সংলগ্ন একটি আবাসনে থাকেন বিভাসবাবু। সম্প্রতি সেখানে ‘সন্দেহজনক’ লোকজনের ঘোরাফেরার খবর তাঁর কানে আসে। এর পরেই তিনি বিধাননগর কমিশনারেটের কাছে লিখিত ভাবে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করার আর্জি জানান। গোটা বিষয়টি নিয়ে বিভাসবাবুর সঙ্গে কথাও হয় কমিশনারেটের কর্তাদের। তার পরেই তাঁর জন্য নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েনের সিদ্ধান্ত হয় বলে সূত্রের খবর। যদিও এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে ডিসি (বিধাননগর) সূর্যপ্রসাদ যাদব কোনও মন্তব্য করতে চাননি।