ধর্মঘটের মোকাবিলায় এই প্রথম একসঙ্গে শ’পাঁচেক বিমা করা বাস পথে নামাচ্ছে রাজ্য সরকার। আজ, বৃহস্পতিবার ধর্মঘটের দিনে ওই বাসগুলিই মূলত কলকাতার এ-প্রান্ত থেকে ও-প্রান্ত দৌড়ে বেড়াবে।
ধর্মঘটের সমর্থকেরা সরকারি বাসে আগুন লাগিয়ে দিচ্ছে, ভাঙচুর চালাচ্ছে— কলকাতায় এমন দৃশ্য খুবই চেনা। কিন্তু সেই আক্রোশের শিকার হওয়া বাস মেরামত করতে এত দিন সরকারকেই গাঁটের কড়ি খরচ করতে হতো। কিন্তু এক দিকে সরকারি কোষাগারের বেহাল দশা, তার মধ্যে বাসের মেরামতের খরচও উত্তরোত্তর বেড়েই চলেছে। সে কারণেই এ বার দুর্ঘটনায় বা বিক্ষোভকারীদের হাতে বাসের ক্ষতি হলে তার ক্ষতিপূরণে বিমার ব্যবস্থা করেছে সরকার।
পরিবহণ দফতর সূত্রে খবর, গত বছর থেকে জেএনএনইউআরএম-এর আওতায় প্রায় ৬৩০টি বাস এসেছে সিএসটিসি-তে। সবগুলি বাসের দামই কয়েক কোটি টাকা। এর মধ্যে ৫৭৫টি বাস ইতিমধ্যেই রাস্তায় চলতে শুরু করেছে। বাকি প্রায় ৫৫টি বাস এলেও রেজিস্ট্রেশন না হওয়ায় এখনও রাস্তায় বেরোয়নি। যে ৫৭৫টি বাস রাস্তায় নেমেছে, তার প্রত্যেকটিই বিমার আওতাধীন। বাকিগুলি বিমার আওতায় আসবে রেজিস্ট্রেশনের পরে।
রাস্তায় নামা ওই ৫৭৫টি বাসের জন্য বিমা বাবদ বছরে তিন কোটিরও বেশি টাকা খরচ করে রাজ্য পরিবহণ দফতর। সিএসটিসি-র এক কর্তা বলেন, ‘উত্তেজিত জনতা বাসের জানলা ও কাচ ভেঙে দিলে, দুর্ঘটনায় বাসটি ক্ষতিগ্রস্ত হলে কিংবা আগুনে পুড়ে গেলে বিমা সংস্থার কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ মিলবে। ধর্মঘটে ক্ষতিগ্রস্ত হলে তা পূরণ করে দেওয়া হবে— এই আশ্বাস মেলার পরেই বিমা করা হয়েছে। বাসের চাকা বা স্টিয়ারিং দুর্ঘটনায় বা বিক্ষোভে পড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হলে, তারও ক্ষতিপূরণ মিলবে।’’
সিএসটিসি সূত্রের খবর, আজ, বৃহস্পতিবার ধর্মঘট রুখতে দু’টি শিফ্ট মিলিয়ে প্রায় ৯০০ বাস নামবে। তার মধ্যে নতুন বিমাযুক্ত প্রায় ৫২০টি বাস থাকবে বলে সূত্রের খবর। বাকি পুরনো বাসগুলির অবশ্য কোনও বিমা নেই।