ফাইল চিত্র।
গল্ফগ্রিন থানার পুলিশের মারে যুবকের মৃত্যুর অভিযোগে সার্জেন্ট অমিতাভ তামাঙ্গ এবং কনস্টেবল তৈমুর আলিকে সাসপেন্ড করা হল। অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ার আফতাব মণ্ডলকেও নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে।
মৃত যুবকের পরিবারের অভিযোগ পেয়ে ডিসির নেতৃত্বে তদন্ত শুরু হয়। ক্লোজ করা হয় ওই দুই পুলিশ আধিকারিক এবং সিভিক ভলান্টিয়ারকে। তদন্তে খতিয়ে দেখা হয় ঘটনার দিনের সিসিটিভি ফুটেজ। সেই ফুটেজে ৩১ জুলাই রাত ১০টা ২৬ মিনিট নাগাদ যুবক দীপঙ্কর দাসকে থানায় ঢুকতে দেখা যায়। রাত ১০টা ৫৬ মিনিটে তাঁকে বেরোতে দেখা যায় থানা থেকে। তাঁর সঙ্গে আরও কয়েক জনকে দেখা গিয়েছিল।
পরিবারের অভিযোগ, থানা থেকে বাড়ি ফেরার পর অসুস্থ হয়ে পড়েন দীপঙ্কর। রাতে তাঁর জ্বর আসে। তাঁকে চিকিৎসার জন্য শিশুমঙ্গল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা জানান, দীপঙ্করের ডান হাতের কবজিতে চিড় রয়েছে। তাঁকে নিয়ে বাড়িতে ফিরে আসেন পরিবারের লোকেরা। বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে এমআর বাঙুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা দীপঙ্করকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
পুলিশি অত্যাচারের অভিযোগ জানিয়ে গল্ফগ্রিন থানার দ্বারস্থ হন দীপঙ্করের পরিবারের সদস্যরা। তাঁরা দুই পুলিশ কর্মী-সহ তিন জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করলেও মৃতের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়। ক্লোজ করা হয়েছিল দুই পুলিশ আধিকারিক এবং এক সিভিক ভলান্টেয়ারকে। এবার ওই দুই পুলিশ আধিকারিককে সাসপেন্ড এবং সিভিক ভলান্টিয়ারকে নিষ্ক্রিয় করা হল।