চলছে বাড়ি ভাঙার কাজ।—ফাইল চিত্র।
এক মাস ধরে দোকান বন্ধ। উপার্জনও নেই। এলাকার বাড়ির মালিকেরা অনেকে ক্ষতিপূরণ পেয়েছেন। কিন্তু সেখানকার ক্ষতিগ্রস্ত স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা ক্ষতিপূরণ বা পুনর্বাসন— কোনওটাই পাননি।
মঙ্গলবার তাই পুনর্বাসন ও ক্ষতিপূরণ বাবদ পাঁচ লক্ষ টাকা দাবি করে রাস্তা অবরোধ করলেন ‘বঙ্গীয় স্বর্ণশিল্পী সমিতি’র বৌবাজার শাখার সদস্যেরা। তাঁদের সঙ্গে অবরোধে যোগ দেন শ্রমিক ও কারিগরেরাও। ওই অবরোধের জেরে দুর্গা পিতুরি লেন থেকে ধ্বংসস্তূপ সরানোর কাজও বন্ধ হয়ে যায়। এক দিকে অবরোধ, অন্য দিকে মেট্রোর কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েন মেট্রো আধিকারিকেরা। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছন ‘কলকাতা মেট্রো রেলওয়ে কর্পোরেশন লিমিটেড’ (কেএমআরসিএল)-এর আধিকারিকেরা। বিক্ষোভকারীদের বুঝিয়ে অবরোধ তুলে দেওয়া হয়। ঠিক হয়, এ দিন দুপুরেই সমিতির লোকজনকে নিয়ে বৈঠকে বসা হবে।
সেই মতো দুপুর দুটোয় গোয়েন্কা কলেজে কেএমআরসিএল-র অস্থায়ী কন্ট্রোল রুমে সমিতির প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠকে বসেন কেএমআরসিএল-এর আধিকারিকেরা। পরে মেট্রোর তরফে জানানো হয়, বৈঠক হয়েছে। কিন্তু সিদ্ধান্ত জানানো হবে বুধবার। এ দিকে, যে সব বাড়িতে ফাটল ধরলেও সেগুলি সংস্কার করে বসবাস করা যাবে বলে ছাড়পত্র দিয়েছিল কেএমআরসিএল, মঙ্গলবার সেই সব বাড়ির মেরামতির কাজ শুরু হয়েছে।