প্রতীকী চিত্র।
বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে সহবাস এবং টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ জানিয়ে দশ-বারো দিন আগে কালীঘাট থানায় ধর্ষণ (৪৭৬) ও প্রতারণার (৪১৯, ৪২০) মামলা দায়ের করেছিলেন এক তরুণী। কিন্তু এখনও অভিযুক্তকে পুলিশ গ্রেফতার করতে পারেনি। এমন অভিযোগ নিয়ে এ বার আদালতের দ্বারস্থ হলেন ওই তরুণী।
কালীঘাট থানা এলাকার বাসিন্দা বছর পঁয়ত্রিশের ওই তরুণী পূর্ব-রেলওয়ের কর্মী। বিবাহবিচ্ছিন্না এবং এক সন্তানের মা ওই তরুণী জানিয়েছেন, এক বছর আগে তাঁর অফিসেরই এক সহকর্মীর সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তাঁদের রেজিস্ট্রি বিবাহের তারিখও ঠিক হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু নির্দিষ্ট দিনে ওই সহকর্মী না আসায় তরুণী তাঁর বাড়ি যান।
তরুণীর দাবি, ওই যুবকের বাবা-মা জানান, তাঁদের ছেলে তাঁকে বিয়ে করবেন না। তাঁর অন্যত্র বিয়ে ঠিক হয়েছে। তিনি যুবকের সঙ্গে দেখা করতে চাইলে তাঁর ভাই ধাক্কা দিয়ে তরুণীকে বাড়ি থেকে বের করে দেন বলে
অভিযোগ। আগেই সহকর্মী নিজের বাড়ির বন্ধক ছাড়াতে তরুণীর কাছ থেকে ১২ লক্ষ টাকা এবং ২২ ভরি সোনাও নিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। তরুণীর আরও অভিযোগ, পরে ওই সহকর্মীই তাঁকে এবং তাঁর শিশুপুত্রকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে ফোন করেন।
তরুণী অভিযোগে জানিয়েছেন, ২৩ জানুয়ারি ইডেন গার্ডেন্সের সামনে তাঁর স্কুটিকে ধাক্কা মেরে পালিয়ে যায় একটি গাড়ি। ওই দুর্ঘটনার জেরে তিনি দীর্ঘ সাত মাস শয্যাশায়ী ছিলেন। তরুণীর অভিযোগ, ওই সহকর্মীই কাউকে দিয়ে ওই ঘটনাটি ঘটিয়েছিলেন। এর পরে সুস্থ হয়ে ১০-১২ দিন আগে তরুণী কালীঘাট থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। মঙ্গলবার তরুণী বলেন, ‘‘প্রতারণার পাশাপাশি আমাকে প্রাণে মেরে ফেলার চেষ্টা করেছিল যে, সে যাতে শাস্তি পায় তাই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছি।’’