গার্ডেনরিচ এলাকায় আগামী জুন-জুলাই মাস থেকে প্রতি দিন তৈরি হবে ৫ কোটি গ্যালন পানীয় জল। বুধবার এ কথা জানালেন কলকাতার মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়। জানা গিয়েছে, পানীয় জল তৈরির এই প্রকল্পের ৯০ শতাংশ কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে। গঙ্গার জল তুলে তা পরিশোধন করে এই পানীয় জল তৈরি হওয়ার কথা। এ জন্য গঙ্গার পাড়ে একটি জেটি প্রয়োজন, যেখান থেকে ওই জল তোলা হবে। সেই জেটি বানালেই ওই প্রকল্প তৈরির কাজ সম্পূর্ণ হবে বলে জানিয়েছেন মেয়র।
জানা গিয়েছে, গার্ডেনরিচের এই প্রকল্প থেকে প্রাথমিক ভাবে গার্ডেনরিচ, বেহালা ও টালিগঞ্জ এলাকার একাংশের কাছে জল পৌঁছে দেওয়ার কথা। এ ছাড়া মেয়র জানান, মহেশতলা, বজবজ এবং পূজালি পুরসভা এলাকার মানুষের দৈনিক ১ কোটি থেকে ১ কোটি ২০ লক্ষ গ্যালন জল দেওয়ার কথা কেএমডিএ-র। সেই পানীয় জল সরবরাহ করতে কেএমডিএ-র আলাদা করে জেটি, বুস্টার পাম্পিং স্টেশন, ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট বানাতে হবে। তা নিয়েই এ দিন কেএমডিএ-র সিইও সুরেন্দ্র গুপ্তর সঙ্গে বৈঠক করেন মেয়র। মেয়রের কথায়, ‘‘সেই সব বানাতে কেএমডিএ-র ২০ থেকে ২২ কোটি টাকা খরচ হবে। তা ছাড়া সময়ও লাগবে বিস্তর। ততদিন ওই তিনটি এলাকার মানুষকে পরিশ্রুত পানীয় জল পেতে হা-পিত্যেশ করে বসে থাকতে হবে। তাই, আজ আমরা কেএমডিএ-কে বলেছি, যে টাকা ওই খাতে তাদের খরচ হবে সেই টাকা আমাদের দিতে। আমাদের জল আছে, পৌঁছে দেব।’’ এ কাজে শুধু পাইপলাইন বানিয়ে দিতে বলা হয়েছে কেএমডিএ-কে। তাতে দু’আড়াই বছর সময় বেঁচে যাবে। মেয়র জানান, কেএমডিএ-র কাছ থেকে ওই টাকা পেলে পরের প্রকল্পে গার্ডেনরিচ থেকে আরও ৫ কোটি গ্যালন জল তৈরি করা হবে। সেই জল বেহালায় সরবরাহ করা শুরু হলে সেখানে আর গভীর নলকূপ বসাতে হবে না। গোটা কলকাতা শহর জুড়ে এখন যে গভীর নলকূপ রয়েছে, সেগুলিও তুলে নেওয়া হবে।