Bidhannagar

রিপোর্ট না-দিলে হতে পারে জেলও

মোল্লার ভেড়ির জঞ্জালে পূর্ব কলকাতা জলাভূমি ভরটা হয়ে যাওয়া নিয়ে এর আগে একাধিক নির্দেশ দিয়েছিল পরিবেশ আদালত। সেই নির্দেশ মেনে রাজ্য সরকার কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় ‘মনিটরিং কমিটি’ গঠন করে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ৩১ জুলাই ২০২০ ০২:৪৩
Share:

ছবি সংগৃহীত

মোল্লার ভেড়ির জঞ্জাল উপচে পড়ে বুজিয়ে দিচ্ছে পূর্ব কলকাতা জলাভূমির একাংশ। সেই সংক্রান্ত মামলা কয়েক বছর ধরেই চলছিল জাতীয় পরিবেশ আদালতে। যার পরিপ্রেক্ষিতে আদালত কয়েকটি সুনির্দিষ্ট নির্দেশ দিয়েছিল। কিন্তু তা পালন না-করায় রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে এ বার কড়া পদক্ষেপ করল তারা। কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ‘স্টেটাস রিপোর্ট’ জমা না-পড়লে দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকের জেল, বেতন বন্ধ রাখা থেকে শুরু করে জরিমানা, পরিবেশগত আর্থিক ক্ষতিপূরণ— সবই হতে পারে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে আদালত।

Advertisement

মোল্লার ভেড়ির জঞ্জালে পূর্ব কলকাতা জলাভূমি ভরটা হয়ে যাওয়া নিয়ে এর আগে একাধিক নির্দেশ দিয়েছিল পরিবেশ আদালত। সেই নির্দেশ মেনে রাজ্য সরকার কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় ‘মনিটরিং কমিটি’ গঠন করে। তা ছাড়া ধাপা এবং মোল্লার ভেড়ির জঞ্জাল ব্যবস্থাপনা নিয়েও সরকারি উদ্যোগে সন্তোষ প্রকাশ করেছিল আদালত। কিন্তু তার পরেও ‘ফেন্সিং’ না থাকার কারণে মোল্লার ভেড়ির জঞ্জাল উপচে জলাভূমি বোজার অভিযোগ উঠেছিল। অভিযোগ ছিল জবরদখলেরও। তার পরিপ্রেক্ষিতে বর্তমান অবস্থা জানতে চেয়ে আদালত হলফনামা দিতে বলে রাজ্য পরিবেশ দফতর, বিধাননগর পুরসভা, নবদিগন্ত ইন্ডাস্ট্রিয়াল টাউনশিপ অথরিটি (এনডিআইটিএ) এবং নিউ টাউন-কলকাতা ডেভেলপমেন্ট অথরিটিকে (এনকেডিএ)।

ঘটনাচক্রে দেখা যায়, শুধু বিধাননগর পুরসভা সাপ্লিমেন্টারি হলফনামা জমা দিয়েছে। বাকিরা সেই নির্দেশ পালন করেনি। যদিও রাজ্যের তরফে দাবি করা হয়, পরিবেশ দফতর সংশ্লিষ্ট হলফনামা জমা দিয়েছে। কিন্তু বৃহস্পতিবার আদালতের নির্দেশে দেখা যায়, সেই রিপোর্ট জমা পড়ার কোনও রেকর্ড নেই বলে জানিয়েছে তারা। আদালত স্পষ্ট করে আরও জানিয়েছে, ১৪ সেপ্টেম্বরের মধ্যে পরিবেশ আদালত, বিধাননগর পুরসভা, এনডিআইটিএ এবং এনকেডিএ বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে ‘স্টেটাস রিপোর্ট’ জমা না-দিলে কড়া পদক্ষেপ করা হবে।

Advertisement

বিধাননগর পুরসভার তরফে জমা দেওয়া সাপ্লিমেন্টারি হলফনামা নিয়েও অসন্তোষ প্রকাশ করেছে আদালত। সেই হলফনামায় জুনের মধ্যে জঞ্জাল ব্যবস্থাপনায় বায়ো-মাইনিং পদ্ধতির কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু জুলাইয়ের শেষেও কেন তা হল না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে আদালত। মামলার আবেদনকারী সুভাষ দত্ত বলেন, ‘‘পূর্ব কলকাতা জলাভূমি ক্রমশ বুজে আসছে। অথচ রাজ্য সরকারের হেলদোল নেই। নির্দিষ্ট সময়ে স্টেটাস রিপোর্ট জমা না-দিলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হিসেবে যে জেল, জরিমানার কথা বলেছে আদালত, তা একদম ঠিক বলে আমি মনে করি।’’ রাজ্যের পরিবেশমন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র বলেন, ‘‘আগে আদালতের রায় দেখি। তার পরে সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব। জাতীয় পরিবেশ আদালত যা নির্দেশ দিয়েছে, তা-ই মেনে চলা হবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement