যাদবপুর ক্যাম্পাসে জল-জঞ্জাল

পুরসভার এক পতঙ্গবিদ শনিবার জানান, এ বারও ক্যাম্পাসের ভিতরে গিয়ে বেশ কয়েকটি ভবনের সামনে প্লাস্টিক ও থার্মোকলের খাবারের প্লেট ডাঁই হয়ে পড়ে থাকতে দেখা যায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৬ জুন ২০১৯ ০১:৩৬
Share:

অপরিষ্কার: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে জমে আবর্জনা। নিজস্ব চিত্র

ক্যাম্পাসের ভিতরে বিভিন্ন জায়গায় জমে থাকা জল ও জঞ্জাল নিয়ে পরপর দু’বছর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কে সতর্ক করেছিল পুর প্রশাসন। এমনকি, পুরসভার গাড়ি পাঠিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতর থেকে এক বার জঞ্জাল তুলেও আনা হয়েছিল। পুর স্বাস্থ্য দফতরের অভিযোগ, তার পরেও সতর্ক হয়নি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। শনিবার পুরসভার ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ জানান, গত বৃহস্পতিবার পুরসভার ডেঙ্গি প্রতিরোধের একটি দল ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে গিয়ে বেশ কয়েক জায়গায় আবর্জনা ও জমা জলের সন্ধান পেয়েছে। ওই জল ও জঞ্জাল দ্রুত পরিষ্কার করতে বলা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে।

Advertisement

পুরসভা সূত্রের খবর, বছর দু’য়েক আগে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছিলেন একাধিক অধ্যাপক ও তাঁদের পরিবারের কেউ কেউ। বিষয়টি জানতে পেরে ওই ক্যাম্পাসে যায় পুরসভার স্বাস্থ্য দফতরের র‌্যাপিড অ্যাকশন টিম। তখনই দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে বেশ কয়েক জায়গায় জঞ্জাল স্তূপীকৃত হয়ে রয়েছে। জমে আছে জলও। পুর প্রশাসনের পরামর্শে সে সব পরিষ্কারের তোড়জোড় শুরু হয়েছিল। সে বার ক্যাম্পাস সাফ করা হলেও গত বছর ফের একই ঘটনা ঘটে।

পুরসভার এক পতঙ্গবিদ শনিবার জানান, এ বারও ক্যাম্পাসের ভিতরে গিয়ে বেশ কয়েকটি ভবনের সামনে প্লাস্টিক ও থার্মোকলের খাবারের প্লেট ডাঁই হয়ে পড়ে থাকতে দেখা যায়। দু’-এক জায়গায় মশার লার্ভাও মিলেছে। সামনেই বর্ষার মরসুম। বৃষ্টি হলেই এডিস ইজিপ্টাই মশার বংশবৃদ্ধি হতে থাকবে। পুরসভার ওই অভিযানে ছিলেন এলাকার বরো চেয়ারম্যান তপন দাশগুপ্তও। তিনি জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে আবর্জনা পড়ে রয়েছে। নিকাশি নালাও ভরে গিয়েছে ফেলে দেওয়া খাবারের প্লেটে। তিনি বলেন, ‘‘বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারকে বলেছি, কেউ ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হলে পুরসভার বদনাম হয়। তাই ক্যাম্পাস চত্বর সাফ রাখতে পুরসভার সহযোগিতা চাইলে দেওয়া হবে। এমনকি, ক্যাম্পাসে একটি কম্প্যাক্টর মেশিন বসানোর আবেদনও করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

Advertisement

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু বলেন, ‘‘পুর প্রশাসন সতর্ক করে যাওয়ার পরে আমরা ক্যাম্পাসের ভিতরে জঞ্জাল সরানোর কাজ দেখতে একটি কমিটি গঠন করেছি। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে সব জঞ্জাল সরিয়ে ফেলা হবে বলে পুর প্রশাসনকে জানিয়েছি।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement